গত তিনদিন ধরে নগরীতে দিনের অধিকাংশ সময় জুড়ে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ, হালকা বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি শীতের প্রকোপ ছিল। গতকাল শনিবার বৃষ্টিপাত না থাকলেও চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপ উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ১৪ ও ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাল দেশের উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলায়। জেলাটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটাকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বলে থাকে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের এই মাঝারি আকারে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহ চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও প্রভাব ফেলেছে। বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এতে বাতাসের কারণে আগের দিনের তুলনায় শীতের প্রকোপ অনুভব করে নগরীর বাসিন্দারা। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা নেই। মাঝে মাঝে যেন লুকোচুরি খেলেছে সূর্য। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকেই।
পতেঙ্গা আবহওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান আগাম পূর্বাভাসের বিষয়ে বলছেন, চট্টগ্রামে সামনে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আরও দুই/তিনদিন ধরে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে। দুপুর গড়িয়ে যাবার পরও দিনের অধিকাংশ সময় কুয়াশা থাকবে। সেই সাথে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। আবহাওয়া অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকবে বলে জানান তিনি।