সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়ায় শাহ সুফি আবদুল কাইউম চিশতিয়ার মাজার এবং শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় দুটি মাজার ভাঙচুর করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় মাজার তিনটিতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
শরীয়তপুরে ভেঙে দেওয়া মাজার দুটি হলো জাজিরার মেহের আলী মাদবরকান্দি গ্রামের ফকির করিম শাহ মাজার (আরশেদ পাগলার মাজার নামেও পরিচিত) ও নড়িয়ার পোড়াগাছা গ্রামের মজিদিয়া দরবার শরিফ মাজার (শালু শাহর মাজার)। এর মধ্যে জাজিরার মাজারটিতে ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুরের মাজার দুটি ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুবুল আলম তাঁর কার্যালয়ে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সভা করেছেন। সভায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ওলামা পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দলের নেতারা অংশ নেন।
সভায় জেলা জামায়াতের সাবেক আমির খলিলুর রহমান বলেন, একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন স্থানে ও স্থাপনায় হামলা করে উগ্রবাদ সৃষ্টি করতে চায়, তা হতে দেওয়া যাবে না।
সভায় বিএনপির জেলা পর্যায়ের চার নেতা বক্তব্য দেন। একজন সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা চাই না কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক; দেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের দিকে যাক।’
যাঁরা মাজার দুটিতে হামলা চালিয়েছেন, তাঁদের ভিডিও পুলিশের কাছে এসেছে উল্লেখ করে এসপি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমরা হামলাকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব। নেতারা পুলিশকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেটের আবদুল কাইউম চিশতিয়ার মাজারে ভাঙচুরের বিষয়ে কথা হয় তাঁর নাতি মো. আবদুল বাকী চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই স্থান তাঁদের পারিবারিক কবরস্থান। সেখানে তাঁর দাদি, বাবা, চাচা, চাচিসহ ভাতিজা ও ভাতিজিদের দাফন করা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর দাদা একজন আলেম ছিলেন। তাঁর অনেক ভক্ত রয়েছেন। তাঁকে দাফনের পর সেখানেই ভক্তরা মাজার গড়ে তুলেছেন। এর সঙ্গে পরিবারের কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেন আবদুল বাকী চৌধুরী।
মাজার ভাঙার বিষয়ে আবদুল বাকী বলেন, ভোরের দিকে ভাঙচুরকারীরা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারে করে এসেছিলেন। স্থানীয় এক-দুজন তাঁদের দেখেছেন।
শাহপরান থানার উপপরিদর্শক মো. আবদুল আজিজ বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি।