বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার ১২ আসামির মধ্যে ১০জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান, আরিফ হাসান সুমন, মুফতি মাঈনুদ্দিন শেখ, আবদুল হাই, শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, নুরুল ইসলাম, মহিবুল মুস্তাকিম ও আনিসুল মুরসালিন ।
মামলার আসামিরা হলেন, জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, মুফতি মাঈনুদ্দিন শেখ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান, মাওলানা মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুস্তাকিম, আনিসুল মুরসালিন, আবদুল হাই, শফিকুর রহমান, নুরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম মিরাজ।
আসামিদের মধ্যে জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া কারাগারে আছেন মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান, আরিফ হাসান সুমন, মুফতি মাঈনুদ্দিন শেখ। পলাতক মাওলানা মশিউর রহমান, আবদুল হাই, শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, নুরুল ইসলাম, মহিবুল মুস্তাকিম, আনিসুল মুরসালিন ও রফিকুল ইসলাম।
কারাগার থাকা চার আসামিরা সকলেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।
২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। মামলাটিতে বিভিন্ন সময়ে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর পল্টন ময়দানে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির সমাবেশে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় ৫ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল।
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের আগস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়। এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ২০০৫ সালে মামলাটি আবার পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর মামলাটি পুনঃতদন্তের পর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মৃণাল কান্তি সাহা। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।