সৈয়দ মোহাম্মদ আজম

আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, যিনি হাজার হাজার মুরিদ ও ভক্তবৃন্দকে শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে আল্লাহ পাকের মহান ইচ্ছায় ইহ জগতের মায়া ছিন্ন করে পরজগতে আশ্রয় নিয়েছেন, আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম সাধক, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরিকত, কুতুবুল আকতাব পীরে মোকাম্মেল আলহাজ্ব শাহসুফি সৈয়দ আবদুল হালিম শাহ(রহ.)।

তিনি বার আউলিয়ার পুন্যভূমি চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত বোয়ালখালি পশ্চিম সরোয়াতলী গ্রামে সৈয়দ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
শিশুকাল থেকে প্রখর মেধার অধিকারী এই মহান সাধক চট্টগ্রাম জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে শিক্ষা জীবন শেষ করেন।

আধ্যাত্মিক দীক্ষা গ্রহণ : তিনি শিশুকাল থেকে ধর্ম পরায়ন ছিলেন। তিনি মসজিদে এবং নিজ বাসভবনে গভীর রাত পর্যন্ত আল্লাহ পাকের ইবাদত করতেন। মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা অধ্যায়ণকালে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম সাধন উপমহাদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ অলিয়ে কালেম হযরত হামেদ হাসান আজমগড়ী শাহ (রহ.) এর বিশিষ্ট খলিফা অলিয়ে কামেল কুতুবুল এরশাদ হাফেজ সৈয়দ মুনিরুদ্দীন শাহ (রহ.) এর নিকট বায়াত গ্রহণ করেন। হযরত আবদুল হালিম শাহ (রহ.) খুবই রাগী ও গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন। তাই অনেকেই দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করতেন। তাঁর মন মানসিকতার অবস্থা বুঝে সবাই আলাপ আলোচনা করতেন। যে কোন কারণে দীর্ঘদিন তাঁর সান্নিধ্যে থাকার সুভাগ্য আমার হয়েছিল। সেই সুবাধে বিভিন্ন সমেয় বিবিধ প্রশ্ন করে অনেক কিছু জানার চেষ্টা করতাম। একান্ত পরিবেশে আলাপ করতে তিনি খুবই ভালোবাসতেন এবং সে সময়ে তিনি যেকোন বিষয়ে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করতেন। একদিন আমি হযরতের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম আপনি কিভাবে এবং কখন হাফেজ সৈয়দ মুনির উদ্দীন শাহ (রহ.) এর সন্ধান লাভ করেন এবং তাঁর বায়াত গ্রহণ করেন। পক্ষান্তরে তিনি বলেছিলেন যে, দারুল উলুম মাদ্রাসায় অধ্যায়ন কালে পাথরঘাটা জামে মসজিদের পাশে এক বাসায় তিনি জায়গির থাকতেন এবং পাথরঘাটা জামে মসজিদে নিয়মিত এশার এবং ফজরের নামাজ আদায় করতেন। উক্ত মসজিদের পাশে দারুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র ক্লাসের ২জন ছাত্র থাকতেন, তাঁরা নিয়মিত উক্ত মসজিদে ফজর ও এশার নামাজ আদায় করতেন এবং নামাজ শেষে অন্যান্য মুসল্লিগণ চলে যাওয়ার পর প্রতিদিন নিরবে বসে তাঁহার আল্লাহ পাকের ধ্যানে মোরাকাবা করতেন। তাঁরা যে, চোখ বন্ধ করে বেশ কিছু সময় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন হয়ে বসে থাকতেন এবং বিষয়টি হযরত আবদুল হালিম শাহ (রহ.) এর শিশু মনকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করল। তিনি মনে মনে ভাবলেন এভাবে বসে আল্লাহ পাকের ধ্যান করলে নিশ্চয় খুব তাড়াতাড়ি আল্লাহ পাকের নৈকটা লাভ করা যায়। কয়েকদিন এভাবে দেখার পর একদিন তিনিও এশার নামাজ শেষে সিনিয়রদের অনুকরণে চোখ বন্ধ করে আল্লাহ পাকের যিকির করতে করতে আল্লাহ পাকের ধ্যানে মগ্ন হলেন। কখন যে রাতের প্রথম প্রহর শেষ করে গভীর রাত হয়ে গেল তিনি মোটেই বুঝতে পারলেন না। মোরাকাবা শেষ করে সিনিয়রদ্বয় যখন চোখ খোললেন তখন তাঁরা দেখলেন তাঁদের থেকে সামান্য দুরে চোখ বন্ধ করে একটা ছেলে আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর ধ্যান করছে। তাঁরা আলো জ্বালিয়ে ভালকরে দেখলেন সেই ছেলে আর অন্য কেউ নয় তাঁদের পরিচিত অনুজ আবদুল হালিম। তখন তাঁরা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আবদুল হালিম তুমি এখানে কি করতেছ ? তিনি উত্তর দিলেন-আপনারা যেমন চোখ বন্ধ করে আল্লাহকে ডাকতেছেন আমি ও তেমনি আল্লাহকে ডাকতেছি। তাঁহারা আবার জিজ্ঞাসা করলেন তোমাকে কে বলেছে, এভাবে আল্লাহকে ডাকতে ? তিনি বললেন-আমাকে কেউ বলেনি। তবে আপনারা যে প্রতিদিন এভাবে বসে বসে আল্লাহকে ডাকেন তা আমার খুব ভাল লাগে, তাই আজ থেকে নামাজের শেষে আমিও এইভাবে আল্লাহকে ডাকব। তখন তাঁরা বললেন তোমাকে আমাদের সাথে একটি জায়গায় নিয়ে যাব, তুমি যাবে ? তিনি বললেন কোথায় ? তাঁরা বললেন হালিশহর হাফেজ সৈয়দ মুনির উদ্দীন শাহ (রহ.) এর দরবারে। যদি যাও খুব ভাল লাগবে। কিছু দিন পর তাঁরা হালিশহর যাওয়ার সময় শিশু আবদুল হালিমকে সাথে নিয়ে গেলেন। যাওয়ার সময় তাঁরা বায়াত গ্রহণ এবং তরীকতের কার্যক্রম ও নিয়মনীতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিলেন শিশু আবদুল হালিমকে। এভাবেই শিমু অবস্থায় আবদুল হালিম আধ্যাত্মিকতার স্বাদ নিলেন। ক্রমান্বয়ে হযরতের ছবক, রিয়াজত ও মোরাকাবায় বেলায়তের মকাম অর্জন করলেন।

পীরের নির্দেশে ইমামতি : একদা কুতুবল এরশাদ হাফেজ মুনিরউদ্দীন শাহ (রহ.) কুতুবদীয়া সফরে গিয়েছিলেন। সাথে অনেক মুরিদান ছিলেন। তম্মধ্যে তিনি সৈয়দ আবদুল হালিম ছাহেবকে সাথে নিয়েছিলেন। কুতুবদীয়া যাওয়ার পর আবদুল হালিম ছাহেবের ইচ্ছে হলো তিনি কুতুবদীয়ার ঐতিহাসিক বাতিঘর দেখতে যাবেন। তিনি একজন সঙ্গী নিয়ে জোহরের নামাজের বেশ কিছুক্ষণ পূর্বে বাতিঘর দেখতে গেলেন। তিনি ঐখান থেকে ফিরতে বেশ কিছুক্ষণ বিলম্ব হল। এ দিকে জোহরের নামাজের আযান হল। হুজুর কেবলা উপস্থিত বিপুল সংখ্যাক মুরিদান ও ভক্তবৃন্দকে নিয়ে সুন্নাত নামাজ আদায় করে নিরবে বসে রইলেন। জামায়াতের সময় প্রায় শেষের দিকে, এমন সময় আবদুল হালিম ছাহেব তাঁহার সঙ্গী নিয়ে বাতিঘর দেখে আসতেছেন। এ সময় হুজুরের সাথে আবদুল হালিমের সাক্ষাৎ হওয়ার পর পীরে ছাহেবের জজবাহালত দেখে তিনি তাড়াহুড়ো করে ওজু করে নামাজে শরীক হন। পরোক্ষণে হুজুর তাকে নির্দেশ দিলেন নামাজের ইমামতি করতে তিনি তখন মাত্র সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। হুজুরের নির্দেশ পেয়ে তিনি নামাজে ইমামতি করেন। এর সাথে তার আধ্যাত্মিক জগতের উচ্চ মার্গীয় সত্বারও বিকাশ ঘটে।

বায়াতের এজাজত প্রাপ্তি : একদা শাহসুফি সৈয়দ মৌলানা আবদুল হালিম শাহ (রহ.) এর নিকট জানতে চেয়েছিলাম আপনি কখন এবং কিভাবে প্রথম বায়াত করানোর কাজ আরম্ভ করেছিলেন। উত্তরে তিনি বলেছিলেন এক সময়ে আমি স্বপ্নের মাধ্যমে গাউছে পাক (রহ:) এর তরফ থেকে আদেশ প্রাপ্ত হই বায়াতের কার্যক্রম আরম্ভ করার জন্য। আদেশ প্রাপ্ত হওয়ার পরে আমি ভাবতে লাগলাম আমার পীর ছাহেব কেবলার পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত আমাকে কিছুই বলা হয়নি। কিন্তু স্বপ্নের মাধ্যমে আমি গাউছে পাকের পক্ষ থেকে যে আদেশ প্রাপ্ত হচ্ছি তা সত্যিকারের গাউছে পাকের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে নাকি শয়তানের কুমন্ত্রনা দেওয়া হচ্ছে ! এর কিছু দিন পরে তিনি পুনরায় স্বপ্নে দেখলেন এইভাবে নিদের্শ দেওয়া হচ্ছে তখন তিনি স্বপ্নে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম সাধক হাফেজ সৈয়দ মুনির উদ্দীন শাহ (রহ.) এর পীর ছাহেব কেবলা হযরত হামেদ হাসান আজমগড়ী শাহ (রহ.) এর নিকট একখানা পত্র লিখলেন। হযরত হামেদ হাসান আজমগড়ী শাহ (রা. আ.) দীর্ঘ একমাস পরে বিস্তারিত লিখে সৈয়দ আবদুল হালিম শাহ (রহ.) এর নিকট একখানা পত্র দিলেন। ঐ পত্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণী হচ্ছে ‘আবদুল হালিম তোমাদের জন্য আল্লাহ পাকের তরফ থেকে অনেক নোয়ামত অপেক্ষা করতেছে। তুমি সময়ের জন্য অপেক্ষা কর’। আর তুমি স্বপ্নের মাধ্যমে যা দেখেছ তা সত্য দেখেছ এটি গাউছে পাকের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এর পরেও হযরত হামেদ হাসান আজমগড়ি (রহ.আ.) বিভিন্ন সময়ে নিজের হাতে লিখে একাধিক পত্র দিয়েছেন সৈয়দ মৌলানা আবদুল হালিম শহা (রহ.) এর নিকট যা এখনো সৈয়দ আবদুল হালিম পাক (রহ.) এর ঘরে সংরক্ষিণত আছে। পরবর্তীতে তিনি পুনরায় গাউছে পাক (রহ.) এর আদেশ প্রাপ্ত হওয়ার পরে ছুটে গেলেন তাহার পীর ছাহেব কেবলা কুতুবুল এরশাদ হাফেজ সৈয়দ মুনির উদ্দীন শাহ (রহ.) এর দরবারে। তিনি স্বপ্নের বিস্তারিত ঘটনা বলে পীর ছাহেব কেবলাকে বলরেন আপনার পক্ষ থেকে আমাকে কিছুই বলা হয়নি কিন্তু আমি স্বপ্নে যা দেখতেছি তা কি সঠিক ? উত্তরে পীর ছাহেব কিবলা বললেন, যেখানে শাহেন শাহে বাগদাদ গাউছে পাক(রহ.) এর পক্ষ থেকে বারংবার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে আর কিছুই বলার বাকী আছে কি ? অতপরঃ তিনি বায়তের কার্যক্রম আরম্ভ করেন।

মুরীদ বানানোর ব্যাপারে অনীহা : বায়াত করানোর আদেশ প্রাপ্ত হওয়ার পর তিনি খুব সংখ্যক লোককে বায়াত করাতেন। কেউ বায়াত গ্রহণের জন্য আসলেও বার বার ফেরানোর পর যাচাই বাছাই করে ইচ্ছে হলে বায়াত করাতেন। বায়াত গ্রহণ করতে আসা বহু লোককে দেখেছি বার বার ফিরি দিতে। একদা তাঁকে বলেছিলাম নানাজান (সম্পর্কে তিনি আমার নানা) আপনার কাছে বায়াত করতে আসা লোকজনকে বারে বারে ফিরিয়ে দিচ্ছেন কিংবা বায়াত গ্রহণ করার সুযোগ না দিয়ে অনেক কর্কশ ভাষা বলে বিদায় করছেন যেন আপনার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে গিয়ে আর না আসে। তখন তিনি বলেছিলেন মিষ্টি কথা বলে কিংবা ভালভাল খাবার দিয়ে তুষ্ট করে মানুষ জোটানো আমাদের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমাদের তরীকতের ইমাম শাহসুফি সৈয়দ আবুদল বারী শাহ (রহ.) এর মুরীদ ছিল মাত্র আটাশ জন আর আমার তার অর্ধেক হলেও চলবে। কিন্তু তার পরেও বর্তমানে মানুষের প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহ পাককেও সন্তুষ্ট করতে পারতেছি না। আবার সময়ের অভাবে কাজ করে মানুষকেও সন্তুষ্ট করতে পারতেছি না, তাই প্রয়োজনের তাগিদে অনেক সময় অনেক কর্কশ কথাবার্তা বলতে হয়, যা সর্বসাধারণের পক্ষে বুঝা খুবই কঠিন।

হুজুরের দরবারে কর্নেল ওসমানীর বায়াত গ্রহণ : আল্লাম সৈয়দ আবদুল হালিম শাহ (রহ.) এর দরবারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক নেত্রবৃন্দ উপস্থিত হতেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানি সাহেব একাধিকবার তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আল্লামা সৈয়দ আবদুল হালিম শাহ (রহ.)এর নিকট বায়াত গ্রহণ করেন। তিনি যখনই আবদুল হালিম শাহ (রহ.) এর দরবারে আসতেন তখন মসজিদে একান্ত পরিবেশে বসে হুজুরের সাথে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতেন।

মসজিদ পাকা করার প্রস্তাব : জেনারেল ওসমানী সাহেব যখন হুজুরের বাড়ি আসতেন তখন মসজিদটি ছিল বাশের তৈরি এবং অনেক পুরাতন। ওসমানী সাহেব প্রস্তাব দিরেন মসজিদটি পাকা করে দেওয়ার জন্য তখন প্রত্তোত্তরে তিনি ওসমানী সাহেবকে বলেছিলেন যে, এই মুহুর্তে পাকা মসজিদের প্রয়োজন নেই, পাকা মুসল্লির (নামাজীর) প্রয়োজন। পরবর্তীতে আল্লামা সৈয়দ আবদুল হালিম শাহ নিজেই প্রচুর টাকা খরচ করে বহুতলা ভবনের ফাউন্ডেশন দিয়ে মসজিদটি খুবই সুন্দর করে নিজের পছন্দমত করে তৈরি করেন।

হুজুরের হজ্বে গমন এবং বিভিন্ন দেশ সফর : আল্লামা সৈয়দ আবদুল হালিম শাহ (রহ.) ইহাজগত থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বে নিজের ছেলে এবং কয়েকজন সফর সঙ্গী নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন এবং হজব্রত পালন করেন। জেরুজালেমে বায়তুল মোকাদ্দাস শরীফে নামাজ আদায় করেন এবং বিভিন্ন নবী রাসুল ও আউলিয়া কেরামগনের মাজার শরীফ জেয়ারত করেন। অতপর তিনি ইরাকে গমন করেন শাহেন শাহ বাগদাদ হযরত গাউছে পাক (র.) এর মাজার শরীফ এবং ইসলামের যেসব উজ্জ্বল নক্ষত্র ঐখানে শায়িত আছেন তাদের প্রত্যেকের মাজার শরীফ জেয়ারত করেন। অতপর আরো কয়েকটি দেশ সফর করে ইসলামের ঐতিহাসিক নিদর্শন সমূহ পরিদর্শন এবং জেয়ারত করেন। তিনি হজ্ব পালন করার জন্য পবিত্র মক্কাশরীফ গমন করেন। হজ্জ্ব পালন শেষে তিনি আকায়ে মাওলা তাজাদারে মদিনা রহমতুল্লিল আ’লামিন হযরত ছৈয়্যেদানা আহমদে মুজতাবা মোহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা পাক জিয়ারতের উদ্দেশ্যে পবিত্র মদিনা শরীফ গমন করেন। অতঃপর তিনি সফর শেষ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।

ওয়াত : সফর শেষ করে আসার বেশ কিছু দিন পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পর্যায়ক্রমে অসুস্থতা বাড়তে থাকে। অবশেষে তিনি হাজার হাজার মুরিদ ও ভক্তবৃন্দকে শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে ১৭ পৌষ ৩১ ডিসেম্বর ২০০২ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটের সময় হেলথ হোম ক্লিনিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে দিদারে এলাহি কবুল করেন। তাঁহার মাজার শরীফ তাঁহার বাড়ীর সম্মুখস্থ মসজিদের পাশে অবস্থিত। প্রতি বৎসর ১৭ পৌষ ৩১ ডিসেম্বর তাঁহার বার্ষিক ফাতেহা বা ওরশ শরীফ তাঁহার নিজ বাড়ীতে মহা সমারোহে উদযাপিত হয়।

লেখক : প্রাবন্ধিক

১৪ ডিসেম্বর ফকির মাওলানার ওরশ শরীফে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

১৩ ডিসেম্বর নুরী বাবার ওরশ শরীফে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

১১ডিসেম্বর সূফীসম্রাট মাওলানা সৈয়দ শিবলী আকবরী (রহ.) -এর ওরশ শরীফে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কালের জ্ঞানতাপস হযরত মাওলানা কাজী আবদুল মজিদ শাহ (রহ.)

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here