রিপোর্ট
রুমানা আক্তার বলেন, পর্যটকরা হেলিপ্যাডের সৌন্দর্য রক্ষার ব্যাপারে সচেতন না। কেউ উচ্চশব্দে গান বাজান আবার অনেকের নেশাদ্রব্য গ্রহণের বিষয় সামনে এসেছে। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পর্যটকদের জন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বরাবরই সাজেকের হেলিপ্যাড পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সাজেকে এটিই একমাত্র জায়গা যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা।
সাজেকের হেলিপ্যাডে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিসোর্টের মালিকরা। এক রিসোর্টের ব্যবস্থাপক জানান, গত কয়েক দিন ধরে হেলিপ্যাডের আশপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে দেখেছিলাম। সকালে জানতে পারলাম আজ থেকে হেলিপ্যাডে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এই হেলিপ্যাডের চারপাশে অনেকগুলো রিসোর্ট আছে। হেলিপ্যাডে দাঁড়ালে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের পাশাপাশি উপভোগ করার সুযোগ হয়।
রুংরাং রিসোর্ট কটেজের স্বত্বাধিকারী রেদওয়ান চৌধুরী বলেন, প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রথমত নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া পর্যটকরা জায়গাটা খুব বেশি নোংরা করে ফেলেন, তাই হয়তো কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে হেলিপ্যাডে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক পর্যটক।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্ল্যান করে এসেছিলাম হেলিপ্যাড থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করব। কিন্তু প্রশাসনের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে আমরা অবাক। ছবি তোলার জন্যও হেলিপ্যাড দারুণ একটি জায়গা ছিল।
আরেক পর্যটক উম্মে সায়মা তানিয়া বলেন, আসলে পর্যটকদের কাছে হেলিপ্যাড একটি আকর্ষণীয় জায়গা। কিন্তু সেখানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করে দেওয়াতে একটু হতাশা কাজ করছে। অবশ্য এর দায় কিছুটা পর্যটকদের ওপরও বর্তায়।