সোহেল মো. ফখরুদ-দীন
চট্টগ্রামের কৃতী পুরুষ, বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক, গীতিকার, শিক্ষাবিদ, সমাজহিতৈষী, সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়ার ১৬তম প্রয়াণবার্ষিকী স্মরণে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি)’র উদ্যোগে স্মারক-বক্তৃতা অনুষ্ঠান গতকাল ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা লেখক দুলাল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট ইতিহাসবেত্তা সিএইচআরসি’র সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্মারক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ ড. শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএসটিসি’র প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া।
উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লেখক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়া। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রাক্তন অনারারি কনসাল্ট জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীম, অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির, অধ্যাপক সচ্চিদানন্দ রায় চৌধুরী, ড. সবুজ বড়ুয়া শুভ, এম এ হাশেম রাজু, প্রদীপ কুমার বড়ুয়া আনন্দ, প্রকৌশলী পরিতোষ বড়ুয়া, ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস কুতুবী, প্রাক্তন এডিসি জেনারেল অরবিন্দ বড়ুয়া, লায়ন সমীরণ বড়ুয়া, কবি সজল কান্তি দাশ, সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, সাংবাদিক অধীর বড়ুয়া, কবি আবু মুছা চৌধুরী, ভাস্কর ডিকে দাশ মামুন, লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন মানিক, সাফাত বিন সানাউল্লাহ, অধ্যক্ষ দীপক তালুকদার, অধ্যাপক সঞ্জীব বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক নীহারেন্দু বড়ুয়া, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সুযশময় চৌধুরী, সমীরণ সেন, মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক দিদারুল আলম, রেখা বড়ুয়া, কবি শৈবাল বড়ুয়া, সরিৎ বড়ুয়া সাজু প্রমুখ।
স্মারক বক্তৃতায় ড. শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া বলেছেন, সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া আজীবন পবিত্র ও মর্যাদাকর পেশা হিসেবে ধরে রেখেছিলেন। তিনি এই পবিত্র পেশাকে কলুষমুক্ত রেখেছিলেন। সে কারণে তিনি সাংবাদিক হিসেবে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি থেকে মনীষীতে পরিণত হয়েছিলেন।
সভায় বক্তারা বোয়ালখালী উপজেলায় বিমলেন্দু বড়ুয়ার জন্মভূমির স্মৃতিকে ধরে রাখতে একটি সড়কের নাম ‘সাংবাদিক বিমলেন্দু বড়ুয়া সড়ক’ নামে নামকরণের প্রস্তাব করেন।
বক্তারা বলেন, বিমলেন্দু বড়ুয়া মূল্যবান ১৮টি গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে মানুষের কাছে উদ্ভাসিত মনীষী হিসেবে বেঁচে থাকবেন। ভারত উপমহাদেশের বৌদ্ধ জাগরণের ইতিহাস তিনি রচনা করে প্রাতঃস্মরণীয় বাঙালি মনীষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।