আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপী কর্মসূচীর ২য় দিনে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দুপুর ১ টা থেকে সংগঠনের দোস্ত বিল্ডিংস্থ কার্যালয় আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহানগর ডেপুটি কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষনা করেন খ্যাতিমান বস্ত্র নকশা শিল্পী রওশন আরা চৌধুরী। প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্স সোসাইটি ভারতের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেবকন্যা সেন এবং সিএমপি পুলিশ এর সাবেক এডিসি কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সম্মানিত বিশেষ অতিথিবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক প্রনব মিত্র চৌধুরী লায়ন পূর্ণেন্দু বিকাশ বড়–য়া, সংগঠক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম রাজু, প্রধান শিক্ষক তরনী কুমার সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ, সংগঠক প্রনব রাজ বড়–য়া, সমাজকর্মী সৈয়দ নূর মোহাম্মদ, সমাজ সেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ সালাম, ইমরান ফারুখী, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, হারুনুর রশিদ, শিল্পী রতন কুমার রাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ আলম, নারী নেত্রী নিবেদিতা আচার্য্য, সংস্কৃতি সেবী শাহানাজ আহমেদ, মোঃ মানিক মিয়া প্রমুখ। সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাগত ভাষন রাখেন- নাট্য কর্মী মোঃ রাশেদ, কবি সাবিকুন নাহার শিউলী, কানাই দেব শুভ, সিনথীয়া তাবাসসুম ঋতু। শুরুতে ২১ এর দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন-শিল্পী উজ্জ্বল সিংহ, বাসুদেব রুদ্র, বৃষ্টি দাশ, কানাই দেব শুভ, সিনথীয়া তাবাসসুম ঋতু, শান্তা সেন, মিলন দাশ, জ্যোতি শর্মা, মৈত্রী আচার্য ।

আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন পরিষদ-২০২০ এর চেয়ারম্যান বাচিক শিল্পী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় উদ্বোধনী পর্বে বক্তারা বলেন-বাংলা ভাষা বুকের রক্তের দামে কেনা বাঙ্গালীর মায়ের মুখের ভাষা। তাই জীবন উৎসর্গ করে এই ভাষা পাকিস্তানী স্বৈর শাসকের কাছ থেকে বাঙালী ছিনিয়ে এনেছিল। ১৯৫২ এর পর বাঙ্গালী ১৯৭১ এ স্বাধীনতা এনেছে। অথচ, বাংলা জুড়ে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন প্রতিষ্ঠা পায়নি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু না হলে ৫২-এ ঢাকা রাজপথে ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া বীরদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন অপরিপূর্ণ হবে। তাই সহসা এই দীনতা ঘুচিয়ে দিতে হবে। বক্তারা আরো বলেন এই কঠিন কাজটি একমাত্র সম্ভব হবে বঙ্গবন্ধু তনয়া, গণতন্ত্রের মানস কন্যা, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। সরকার চাইলে এই দুরুহ কাজটি জরুরী আইন প্রনয়নের মধ্য দিয়ে সুপ্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে। কর্মসূচিতে দুই শতাধিক শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শেষে সকলকে কর্মসুচি সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন-সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভাস্কর ডি.কে. দাশ মামুন। সংগঠনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য শিল্পীদের ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে নিউ মার্কেট চত্বরে সন্দীপনার মুক্ত মঞ্চে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিল্পীদের নাম রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here