স্বামীজীর শ্রীচরণে
কবিয়াল রমেশ শীল
শ্রদ্ধেয় সভাপতি, উপস্থিত সদ্জন মন্ডলী, প্রিয় ছাত্র, মা, বোনগণ,
বড় আশা নিয়ে প্রাণে, এসেছি সভার স্থানে, করিতে অভিনন্দন।
আজ এই পূণ্যদিনে, সুধীভক্ত সর্বজনে, এই সভায় হয়েছেন মিলিত,
আবাল বৃদ্ধ বণিতায় গুরু জ্ঞানে এই সভায় সবার কাছে মাথা করি নত।
যা দেখি ব্রহ্মান্ডময়, গুরুবিনে কেহ নয়, গুরু ব্রহ্মা প্রভুর মুলের কথা
গুরু বিশ্বাস হল যার, তার চরণে নমস্কার মানুষরূপে সেইত দেবতা।
অস্বীকার করিবার যোগার নাই।
গৃহস্থ বৈষ্ণব সন্ন্যাসী পরস্পর মন কষাকষি দেখে মনে বড় দুঃখ পাই
মানুষ বাল্যকালে যাহা শুনে বিকাশ করে যৌবনে সেই সংস্কার আজীবন রয় ।
মূল সত্য চাপা পড়ে উপলব্ধি করতে নারে স্বরূপ উদয় নাহি হয়।
দ্বৈতবাদ অদ্বৈতবাদ সাকার কি শুন্যবাদ নিজের সংস্কার সত্য বস্তু জানে যেই ।
অন্যের সংস্কার ভুল বুঝতে নারে সত্যের মুল হিংসা দ্বেষে ভাসে সেই।
কর বা না কর সাধন গুরু নিষ্ঠা রেখ মনে
গুরু ব্রহ্ম অভেদ আত্ম প্রভেদ নাই তার কোন দিনে।
গুরু পদে থাকলে ভক্তি, অবশ্য তার ঘটে মুক্তি,
গুরু ব্রহ্ম অভেদ শক্তি লিখেছে বেদ পুরানে॥
সুখে দুঃখে সমানভাবে যে জন গুরুর স্মরণ লয়,
রণে বণে মরণে জল আগুনে থাকে না তার কোন ভয়।
আমার গুরু জগত গুরু স্বামী জগদানন্দপুরী (পরমহংস) মহারাজ
ধর্ম সভায় সভাপতি হয়েছেন স্বামী গিরিজানন্দ গিরি মহারাজ,
একটু চরণ প্রান্তে জায়গা দিয়ে রেখে রমেশ পাগলারে।
উপমহাদেশ খ্যাত কবিয়াল রমেশ শীল ছিলেন শ্রীমৎ স্বামী জগদানন্দপুরী মহারাজের একজন অন্যতম শিষ্য। ১৯৫৮ সালে ১৫ই পৌষ শ্রীমৎ স্বামী জগদাননন্দ পুরী মহারাজের শুভ আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ধর্মসভায় উল্লেখিত স্বরচিত কবিতাটি পাঠ করেছিলেন কবিয়াল নিজেই।
সৌজন্যে- শীল সমিতির প্রকাশনা
এবি/ টিআর ৩০-৬-২০১৯