বিভাগের সম্পাদক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকীতে প্রতিবছরের মতো এবারো টুঙ্গিপাড়ায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে এবারও মেজবান অনুষ্ঠিত হচ্ছে । মেজবানে খাওয়ানো হবে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এবারও টুঙ্গিপাড়ার দু’টি স্থানে মেজবানির আয়োজন থাকছে। তবে শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে হবে মূল আয়োজন। এখানে প্রায় ৩০ হাজার লোকের খাওয়ার আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বালিয়াডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে থাকবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য আয়োজন। সেখানেও প্রায় ১০ হাজার লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
এ মেজবানে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী চট্টগ্রাম মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন ও পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও তার বড় ছেলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মীর একটি প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়া গেছেন।
ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলাম খান, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নকিব হোসেন তরফদার মেজবানস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রতি বছরের মতো যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ওই মেজবানে কাজ করবেন। মেজবানির আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন এ মেজবান তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন।
প্রয়াত চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে আমার প্রয়াত পিতা (আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী) চট্টগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়ায় এসে মাজার জেয়ারত ও মেজবানের আয়োজন করতেন। বিষয়টি আমার দল ও আদর্শের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেটি প্রমাণিত। মূলত টুঙ্গিপাড়া হচ্ছে আবেগের জায়গা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেই এসব আয়োজন।
২৬ বছরের এ ঐহিত্যবাহী জাতীয় শোক দিবসে মেজবানের আয়োজন হতো চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে। মাথায় হুলিয়া নিয়ে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায়ও ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সাধ্যমতো সাধারণ মানুষের জন্য আপ্যায়নের আয়োজন করতেন প্রয়াত এ নেতা।
এবি/ টিআর -১৫-৮-২০১৯