শুরু হলো আজ (১৫ জানুয়ারি) থেকে মাঘ মাস। মাঘ বাংলা সনের দশম মাস। বাংলা মাঘ এবং শকাব্দের ‘মাঘা’ নামটি এসেছে মঘা নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে। পৌষ এবং মাঘ এই দুই মাস মিলে শীতকাল। এ মাসই শীতের সমাপ্তি।
সিজারিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের মধ্যভাগ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্য ভাগ পর্যন্ত মাঘ মাসের ব্যাপ্তি। এ মাসে বাঙালির কয়েকটি উৎসবও পালিত হয়। মাঘে কুয়াশা শিশিরের বিদায় পর্ব। পাতাঝরার দিন শুরু হয়ে বৃক্ষরাজি সাজতে থাকে। পৃথিবী চন্দ্র ও সূর্যের কাছে আসতে পারে।
মাঘের সূর্যালোক অনেক ধর্মাবলম্বীর কাছে বিশেষ পবিত্রতা বয়ে আনে। যেমন এই সূর্যালোক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য নিয়ে আসে সূর্যব্রত। অবিবাহিত নারী মনের মতো বর পেতে সূর্যব্রত পালন করে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনেকে সূর্যব্রতকে ঘিরে অনুষ্ঠানাদি করে।
শুক্লা পঞ্চমীর তিথি নিয়ে আসে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী। পালিত হয় সরস্বতী পূজা। এবারের সরস্বতী পূজার দিন ধার্য হয়েছে ১৫ ও ১৬ মাঘ। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদযাপিত হয় সরস্বতী পূজা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঘরে মহোৎসব হয়ে আসে মাঘী পূর্ণিমা।
তবু মাঘ মাসের বড় আক্ষেপ- এই মাসে বানানো পিঠাপুলি পৌষের পরিচিতি বহন করে। কেউ বলে না মাঘের পিঠা। এমনকি ফাল্গুন মাসে বানানো পিঠাও পৌষের মলাট পেয়ে বসে। পৌষের পিঠার এই সুর বয়ে বেড়াতে হয় মাঘ ফাল্গুনকে। এর মধ্যেই মাঘের আনন্দ- ফলের রাজা আমের মুকুল এনে দেয়।