অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ঐ নোটিশে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। যাতে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হয়।

কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কারণে শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তারা দিনরাত মুঠোফোনে ইউটিউব, গেমিং এবং টিভি দেখছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললেও শিক্ষার্থীরা মার্কেট, শপিংমল ছাড়াও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে আসা যাওয়া করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারির পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি না বাড়িয়ে খুলে দেওয়া উচিত। শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর সোমবার ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে মোট ১১ বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তকরন পরীক্ষা, এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষাসহ ইংলিশ মিডিয়াম অনেক স্কুলে শারীরিক উপস্থিতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোটিশে আরো বলা হয়, এই মহামারি ভাইরাস এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যে দ্রুতই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তাই শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির শিকার না হয় সেজন্য ছুটি বৃদ্ধি না করে ১৬ জানুয়ারির পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত। গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকারের পক্ষে আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী সোমবার ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান।

-ইত্তেফাকের সৌজন‌্যে

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here