আলোকিত প্রতিবেদক:

মাইজভাণ্ডারী শরাফতের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)। পিতা হুজুর গাউসুল আজম শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর পুত্র ঘরের নাতি অছিয়ে গাউসুল আজম শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (ক.)। মাতা কুতুবুল আকতাব হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারী (ক.) কেবলা কাবার কন্যা সৈয়দা সাজেদা খাতুন (ক.)। তিনি পিতার ঘরের প্রথম পুত্র।

১৯৮৮ সালের ১৩ অক্টোবর মোতাবেক ২৬ আশ্বিন ১৩৯৫ বাংলা, হিজরী সনের তারিখ ছিল পহেলা রবিউল আউয়াল। এই দিনে বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) মহান প্রভূর মিলনে ধন্য হয়েছিলেন। তার ৩৩বছর পর আজ পহেলা রবিউল আউয়াল ১৪৪৩ হিজরী মোতাবেক ৭অক্টোবর ২০২১ ইংরেজী, ২২ আশ্বিন ১৪২৮ বাংলা বৃহস্পতিবার তাঁর সহধর্মীনি উম্মুল আশেকীন আলহাজ্ব মোসাম্মৎ মুনাওয়ারা বেগম অগনিত আশেক ভক্তকে শোকসাগরে ভাসিয়ে মহান স্রষ্টার সান্নিধ্যে গমন করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)। ৩৩ বছর পর পরম শ্রদ্ধেয় বাবার সাথে মিল রেখে একই তারিখে পরম মমতাময়ী মায়ের পর্দা । যা মহান আল্লাহর কর্তৃক অপার প্রাপ্তি হিসেবে নিয়েছেন আশেকীনরা।

তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভূগছিলেন এবং বুধবার (৬ অক্টোবর ২০২১) আনুমানিক রাত সাড়ে দশটার দিকে ইন্তেকাল করেন। আশেকগণ যখন আগামী ১১ অক্টোবর ৩৩তম পবিত্র ওরশ শরীফের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখনই এই বিয়োগান্ত সংবাদ আশেকীনদের জন্য সত্যিই এক বেদনা বিধুরে সিক্ত সময়। পরম শ্রদ্ধায় বেদনার্ত হৃদয়ে অবশেষে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ৭অক্টোবর বাদে আছর মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ শাহী ময়দানে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা নুরুল ইসলাম ফোরকানি। জানাজা শেষে বিশ্বঅলি শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি (ক.) পবিত্র রওজার অভ্যন্তরে সমাহিত করা হয়।

ইন্তেকালের সময় তিনি একমাত্র পুত্র ও পাঁচ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, আশেক, ভক্ত-মুরিদান এবং গুনগ্রাহী রেখে যান।

এদিকে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) সহধর্মিনী উম্মুম আশেকীন মুনওয়ারা বেগম ইন্তেকালে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উনার ইন্তেকালে দরবারে আওলাদগন, আশেক ভক্তবৃন্দ ও বিভিন্ন মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ।

উল্লেখ্য, তিনি পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের পথ প্রদর্শক, দরবারে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন, রাহবারে আলম হযরতুহাজ্ব সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.) এর মমতাময়ী আম্মাজান।

প্রিয় সন্তানের কাঁধে মায়ের শব দেহ
প্রিয় সন্তানের কাঁধে মায়ের শব দেহ

“স্বামীর (বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী) বর্তমানে ও অবর্তমানে এই মহিয়সী মহিলা (শাহানশাহ্ মাইজভাণ্ডারীর ‘সম্মানিতা সহধর্মিণী’, উম্মুল আশেকিন আলহাজ্ব মুনাওয়ারা বেগম) নিজ সন্তানদের লালন পালন, সুশিক্ষা ও পারিবারিক দায়িত্বের সাথে মনজিলের অভ্যন্তরীণ গুরু দায়িত্বও পালন করেন। মেয়ে ভক্তদের দুঃখ দুর্দশার বর্ণনা ধৈর্য সহকারে শুনে সমাধানের সুপরামর্শ দান, দরবারে আর্জি ফরিয়াদ ও দোয়া করেন। শাহানশাহ্ বাবাজানের পরশধন্য এই পূতঃ পবিত্র সেবিকা মনজিলে আগত বিপুলসংখ্যক মেয়ে পুরুষদের আদর আপ্যায়ন, থাকা খাওয়া, খোঁজখবর নেওয়া ইত্যাদি হাসিমুখে সম্পন্ন করে মমতাময়ী মায়ের ভূমিকাই পালন করেন। স্বামীর ওফাতের পর ভক্তদের মধ্যে ঐক্য রক্ষা, বিপুল ব্যয়ে রওজা শরিফ নির্মাণ, মনজিলের প্রচার-প্রসার ও উন্নয়নে তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও প্রায়োগিক কৌশল এক অনন্য ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। সাংগঠনিক গুণ ও অনুপম চরিত্রে তিনি দরবারী মহলে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। এ কন্যার মাধ্যমে (কন্যার) পিতার সেবার আর্জি বাসনা পরিপূর্ণ হয়েছে। আল্লাহ্ এ অনন্য পিতাকে জান্নাতবাসী করুন। হযরত গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র পবিত্র রক্তের ধারা এ পুণ্যবতী মহিলার মাধ্যমে মূর্ত হয়েছে। উত্তরসূরিদের মাঝে এই মা অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। মহান অলি-উল্লাহর সহধর্মিণী এই ভাগ্যবতী মহিলা পরবর্তীকালের লক্ষ কোটি মানুষের শ্রদ্ধাষ্পদ মা’জান; অগণিত ভক্তের প্রার্থিত শুভাশীষ।”

[সূত্র: “শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী”- গ্রন্থের ‘চরণ সেবায় উৎসর্গ’ শিরোনাম হতে]
জানাজা চলাকালীন গাউসিয়া হক মনজিল এলাকা
জানাজা চলাকালীন গাউসিয়া হক মনজিল এলাকা

আর আজ ২১ আশ্বিন, ৬ অক্টোবর মোতাবেক ২৯ সফরের এই রাতে ১০:০০ টার সময় অগণিত আশেক-ভক্তকে অপূরণীয় শূন্যতায় ভাসিয়ে দিয়ে মহান রাব্বুল আলামিনের চির-সান্নিধ্যে চলে গেলেন এই মহীয়সী নারী। ‘গাউসিয়া হক মনজিল’-এর প্রতিষ্ঠার সময়সহ ‘দরবারে গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র ইতিহাসে এই মহীয়সী নারীর অনবদ্য ভূমিকা লেখা থাকবে সোনালী ফলকে। একজন নারী মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কতটা রেয়াজত-সাধনা, কষ্ট স্বীকার করতে পারেন এর এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি এই মহীয়সী নারী।

জানাজা চলাকালীন মাইজভান্ডার শাহী ময়দান
জানাজা চলাকালীন মাইজভান্ডার শাহী ময়দান

বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র সাথে উম্মুল আশেকিন আলহাজ্ব মুনাওয়ারা বেগম (রা.)’র শাদি মোবারকের রয়েছে এক চমকপ্রদ প্রেক্ষাপট। প্রসঙ্গত তা উল্লেখ করা হলো-

“(শাহানশাহ্ মাইজভাণ্ডারী’র) ভাব বিভোরতা বাড়তেই থাকে। আত্মীয়-স্বজন পিতামাতাকে পরামর্শ দিলেন, বিবাহের উপযুক্ত বয়স; তাই বিয়ে করানোও প্রয়োজন। পিতা চিন্তা করলেন, এমন ছেলেকে কে আবার মেয়ে দেবে! তবু খোঁজ-খবর নেওয়া হল। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি মেয়ে দিতে প্রস্তাব দিলেন। সেখানে আত্মীয়তায় পরিবারের সকলে রাজি। কিন্তু কী এক অজ্ঞাত কারণে তিনি নিজ মত পরিবর্তন করেন। এ’তে সকলে মনঃক্ষুণ্ণ হয়। পরে ফটিকছড়ি থানার দাঁতমারা ইউনিয়নের প্রখ্যাত জমিদার জনাব বদরুজ্জামান সিকদার সাহেবের কনিষ্ঠা কন্যা মোসাম্মৎ মনোয়ারা বেগম সম্পর্কে আলোচনা হয়। এক বৎসর পূর্বে সিকদার সাহেব একখানা চিঠি পেয়েছিলেন। চিঠিতে লেখা ছিল, তাঁর একটা মেয়ে মাইজভাণ্ডার শরিফ বিয়ে দিলে হাশরের দিনে রাসূলুল্লাহ্ (দ.) তাঁর মুক্তির সুপারিশ করবেন। সে চিঠি তখনই দরবারে পাঠানো হয়েছিল। যোগাযোগের অসুবিধা ও অত্যধিক দূরত্বের জন্য প্রথমে সে চিঠির গুরুত্ব নিয়ে কেউ তেমন চিন্তা করেন নাই। অবশেষে মৌং সৈয়দ মাহ্ফুজুল করিম সাহেবের প্রস্তাবে আলোচনা গতিলাভ করে। দৌলতপুর নিবাসী মেয়ের মামা আলতাপ মিয়া চৌধুরীকে সংবাদ দিয়ে আনা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন দরবারে পাকের আওলাদগণ
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন দরবারে পাকের আওলাদগণ

প্রাথমিক আলোচনা শেষে চৌধুরী সাহেব দিন-তারিখ ঠিক করে দাঁতমারা গেলেন, মৌং মাহ্ফুজুল করিম সাহেবও সঙ্গে যান। এ প্রস্তাব সিকদার সাহেব আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন। অলংকারপত্র ও কাবিননামার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলে সিকদার সাহেব বলেন, “মুনিবের দরবারে আমার মেয়েটা কবুল হলে অধীন চির-কৃতার্থ হই। আমার সেবা যেন চিরদিন অটুট থাকে। ভক্তের কিসের দাবী-দাওয়া।” কার্তিক মাসের পনের তারিখ রোববার শুভ-করার (নিশান) অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত হয়। এ আত্মীয়তার ব্যাপারে বরও সম্মত ছিলেন। সিকদার সাহেব হযরত দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারীর মুরিদ ছিলেন। হযরতের উরস্ শরিফে তিনি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। দরবারে আসার সময় বিছানাপত্রসহ নিজ প্রয়োজনীয় সবকিছু তিনি সঙ্গে নিয়ে আসতেন এবং পূর্বের চাষ বাড়িতে থাকতেন। হজ্ব করে আসার পর তিনি স্বীয় বাড়ির পরিবর্তে মসজিদের পাশে একখানা পর্ণ-কুটিরে এবাদত বন্দেগীতে বাকি জীবন কাটিয়ে দেন। তিনি দৈনিক শুধু একবেলা আহার করতেন। মেয়ের বিয়ের প্রস্তাবে তিনি ভীষণ ভয় পান। নিজ পীর সাহেব যাকে তিনি আজীবন ‘বাবাজান’ ডেকেছেন, তাঁকে বেয়াই বানিয়ে একই চাদরে বসবেন এ যে অকল্পনীয়! তাই আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলেন, “হে খোদা, আমাকে বাঁচাও; মুর্শিদকে বেয়াই জেনে আমি যেন দোজখী না হই।” তাঁর আবেদন বৃথা যায় নাই। শুভ-করার অনুষ্ঠানের চারদিন পূর্বে এগার কার্তিক, ১৯৫৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি তারিখ ঠিক রাখার জন্য পুত্রদের নির্দেশ দিয়ে যান। শোক প্রশমনের জন্য দরবারের উপদেশ মতো এক সপ্তাহ পরে নিশান-পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের তারিখ ধার্য হয়: চৌদ্দ মাঘ; তেরশ বাষট্টি বাংলা, আটাশ জানুয়ারী: উনিশশ পঞ্চান সাল, মঙ্গলবার।

মমতাময়ী মায়ের শবদেহের পাশে দাঁড়িয়ে আশেকীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন একমাত্র পুত্র সন্তান পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের পথ প্রদর্শক, দরবারে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন, রাহবারে আলম হযরতুহাজ্ব সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)
মমতাময়ী মায়ের শবদেহের পাশে দাঁড়িয়ে আশেকীনদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন একমাত্র পুত্র সন্তান পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের পথ প্রদর্শক, দরবারে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন, রাহবারে আলম হযরতুহাজ্ব সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)

তাঁদের পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র:

সৈয়দা জেব-উন-নাহার বেগম, সৈয়দা হোমায়রা বেগম, সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান, সৈয়দা কুমকুম হাবিবা, সৈয়দা উম্মে মুনমুন হাবিবা, সৈয়দা নূরে আসমা কানিজ ফাতেমা।
সকলের ভাল ঘর ও বরে বিয়ে হয়েছে। দাম্পত্য জীবনের চাওয়া-পাওয়া বিসর্জন দিয়ে স্ত্রী নিজেকে মনেপ্রাণে স্বামী সেবায় নিয়োজিত করেন। বেদনার্ত মুহূর্তগুলো স্নেহময়ী শাশুড়ি গভীর মমতায় ভুলিয়ে দিতেন। শ্বশুরের কাছ থেকেও পেয়েছেন অত্যধিক স্নেহ। স্বামী জজ্‌বা হালে থাকলে ভীষণ রাগান্বিত হতেন। আবার শান্ত অবস্থায় সুমধুর ব্যবহারে হৃদয় আকুল করতেন, যা তুলনাহীন গভীর প্রেমময়। কষ্টকর কোন কাজ করতে এবং রান্না ঘরে যেতে নিষেধ করতেন। সব কাজ সেবিকাদের দিয়ে করাতে বলতেন। কখনো চা চাইলেন তো, সারারাত চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সেদিকে খেয়ালই নাই। চোখে ঘুম নামলে কতো অসতর্ক মুহূর্তে হুমড়ি খেয়ে পড়েও গেছেন। স্বামীর খেয়াল হলে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতেন। এ বাড়িতে আসার পর একদা তাঁকে মূল ভবনে থাকতে নিষেধ করে পেছনের স্যাঁতসেঁতে নড়বড়ে বেড়ার ঘরে থাকতে বলেন। শীতকালে অত্যধিক ঠান্ডা বলে সেবিকা মেয়েদেরও সে ঘরে থাকতে দেওয়া হয় না। তবু স্বামীর নির্দেশ পালন করেন। দু’বছর পর স্ত্রী পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রির টাকা পেলে অনুমতি নিয়ে সেখানেই একটি পাকা ঘর নির্মাণ করেন। মা তাঁর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সে ভবনে থাকেন। শত দুঃখ কষ্ট এভাবেই আশীর্বাদে পরিণত হয়। দীর্ঘ বৈবাহিক জীবনে এমনি অসংখ্য ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা ঘটেছে। [সূত্র: প্রাগুক্ত]
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here