লেখক-সাহিত্যিক-গবেষক পরিষদ’র উদ্যোগে প্রয়াত সমাজ বিজ্ঞানী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. গাজী সালেহউদ্দীনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান ১৮ এপ্রিল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসা মোড়স্থ কুটুম বাড়ী রেস্তোরার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচীতে ছিল প্রয়াতের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত, স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল। সভায় সভাপতিত্ব করেন লেখক-সাহিত্যিক-গবেষক পরিষদ’র সভাপতি অধ্যক্ষ ড. শেখ এ. রাজ্জাক রাজু।

প্রধান আলোচক ছিলেন চবি গবেষক ভাস্কর ডি. কে. দাশ মামুন, সম্মানিত বিশেষ অতিথিবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী জাবেদ আবছার চৌধুরী, অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মাসুদ রানা, সংবাদ কর্মী মুকুল সিকদার, সংগঠক তাজুল ইসলাম রাজু, সংগঠক স.ম. জিয়াউর রহমান, বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী সমীর চন্দ্র সেন, ফাতেমা আক্তার ডলি, বাচিক শিল্পী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, প্রভাষক মোবাশ্বেরা বেগম, মাহেমুদা আকতার, রোকেয়া বেগম, শিক্ষক আবুল হোসেন, এমরান হোসেন মিঠু, নিবেদিতা আচার্য্য, শেখ নজরুল ইসলাম, শিউলী আকতার, সংগঠক হাসান মুরাদ।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দীন একজন মহান মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসেনানী। জীবনভর তিনি দেশব্যাপী বধ্যভূমি সংরক্ষণ আন্দোলনকে জোরালো অবস্থানে পৌঁছে দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের কাছে এক অকুতোভয় কীর্তিমান বীর বাঙালীর ভূমিকায় সিংহ পুরুষ ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেও তৃণমূল পর্যায়ে ঝরে পড়া শিশুদের জন্য পথকলি শিশু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এক অবিস্মরণীয় ও অনুকরণীয় ভূমিকা রচনা করে গেছেন।

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তাগণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে চবিতে তাঁর নামে একটি হলের নামকরণের যৌক্তিক দাবী করেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here