নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘কর্ণফুলীতে অবিলম্বে রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণ করতে হবে। জনগণ আর তামাশা দেখতে চায় না। উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ নস্ট না করে কালুরঘাটে অবিলম্বে সড়কসহ রেল সেতু নির্মাণ করে মানুষকে কস্ট থেকে মুক্তি দিন। ’
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম পাড়ে রেলসহ সড়ক সেতুর দাবিতে পদযাত্রা উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা কমিটি আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সেতু নির্মাণের দাবিতে অক্টোবরে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি, নভেম্বর মাসে বোয়ালখালী ও পটিয়ার মানুষদের নিয়ে বোয়ালখালী থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত পদযাত্রা। এরপরও নির্মাণ কাজ শুরু না হলে সেতু অবরোধের ঘোষণাও আসবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।

সিপিবি নেতৃবৃন্দরা বলেন, কালুরঘাটে সেতু নির্মাণ নিয়ে গত ১১ বছর ধরে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ একের পর এক কথা ফুলঝুঁড়ি ফুটিয়েছেন। এখন তিনি বলছেন ডিসেম্বর মাসে পদত্যাগ করবেন। এতো বছর কি করেছেন আপনি (সাংসদ)। ডিসেম্বরের দরকার কি, এখনই পদত্যাগ করেন। সংসদ আপনাদের, দেশ আপনাদের তবে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ নিয়ে গড়িমসি কেন?’
বক্তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন কালুরঘাটে শুধুমাত্র রেল সেতু করা হবে, এই সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না। একটি মাত্র উপজেলার জন্য যদি সেতু করা সম্ভব না হয়, এতোদিন চীন-কোরিয়া সেতু করে দেবে বলে জনগণের প্রাণের দাবি নিয়ে উপহাস করেছেন কেন ? তিলে তিলে না মেরে একেবারে মেরে ফেলুন।’

বক্তব্যে আরো বলেন, ‘সেতু যদি করতে না পারেন তবে কালুরঘাট সেতুর ইজারা দেওয়া বন্ধ করে দেন। বৃট্রিশ আমলের সেতু রেখে আপনারা উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছেন আর ভাবছেন মানুষ কিছুই বোঝে না। গরীবের টাকা আপনারা উন্নয়নের নামে লুটপাট করবেন, মন চাইলে কোটিপতির কোটি কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করে দেবেন- তা হবে না।’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল নবী, সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মছিউদ্দৌলা, সহ সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক কানাই লাল দাশ, বোয়ালখালী শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক শেহাবুদ্দিন সাইফু, অনুপম বড়ুয়া পারু প্রমুখ।
কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাড়ে সমাবেশ শেষে কালুরঘাট সেতু দিয়ে পদযাত্রা করে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব পাড়ে জমায়েত হন নেতৃবৃন্দরা। এ সময় হাজারো শ্রেণি পেশার মানুষ এ পদ যাত্রায় অংশ নেন।