`দ্রুত ভুল সংশোধন করে রাজাকারের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজাকারের তালিকায় ভুল-ত্রুটি নিয়ে ইতোমধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও এ তালিকা নতুন করে যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের নির্দেশও দিয়েছেন। সুতরাং এটি নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়।’

এর আগে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রথম দফায় সারাদেশের ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তবে সেই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতার পক্ষের ব্যক্তিদের নাম থাকায় সেই তালিকা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হওয়ায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

রাজাকারের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আবেদেন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেকে।

এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।

ব্যাখ্যায় তিনি জানান, ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তালিকাটি তৈরি করেনি বরং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকাটি প্রকাশ করেছে।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘ভুলভাবে কারও নাম তালিকাভুক্ত হয়ে থাকলে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই করে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে।’

বৈঠকে সম্মেলনের বিভিন্ন উপ-কমিটির নেতারা তাদের প্রস্তুতির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। আমরা তার নেতৃত্বের পেছনে থাকবো। তিনি যাকে যে দায়িত্ব দেবেন, তা মেনে নিতে হবে।’

আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সম্মেলন সর্ববৃহৎ হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণের হিসেবে এ সম্মেলনের মাধ্যমে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয় ঘটানো হবে। যারা আধুনিক ও সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ গড়ে তুলেবেন। আমাদের নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে ও আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। এটা দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা। কিন্তু সেটি নিয়ে যেন কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা না হয়। যারা নোংরা প্রচারণা করছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।’

এছাড়া বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানসহ অনেকে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here