ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে ফটিকছড়ি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফটিকছড়ি উপজেলা লকডাউন থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সায়েদুল আরেফিন।
তিনি জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা অনুযায়ী বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফটিকছড়ি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জারি করা ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংক্রমণ রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ১১(১)(২)(৩) ধারা অনুযায়ী জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষে ফটিকছড়ি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলো।
‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলা থেকে সড়ক, নৌ বা অন্য কোনো পথে কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন বের হতে পারবে না। অন্য কোনো উপজেলা থেকে আসতে পারবে না। পাশাপাশি সব ধরণের যানবাহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত থাকবে।’
তবে লকডাউনের সময় বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট, ব্যাংকিংসহ জরুরি পরিসেবায়, চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ কাজে, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য পরিবহন এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহনের জন্য উপরের নির্দেশনা শিথিল থাকবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। ওইদিন রাতে লোহাগাড়া উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
গত ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রামের আরেক উপজেলা বাঁশখালী লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ২০ এপ্রিল হাটহাজারী উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৩) সকালে রাউজান উপজেলা লকডাউনের ঘোষণা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবীর সোহাগ।