একমাত্র টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে বাংলাদেশকে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। রশিদ খানের স্পিন ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। রশিদ খান একাই নিয়েছেন ৬টি উইকেট।
সকাল থেকে মুষলধারা ভাসিয়ে দিয়েছে সাগরিকাকে। প্রথম সেশনে কোনো বলই মাঠে গড়াতে পারেনি। দ্বিতীয় সেশনে মাঠে নেমে মাত্র ১৩টি বল খেলার পর আবারো শুরু হয় বৃষ্টি।
বৃষ্টি তো ঠিকই ডাক শুনেছিলো, কিন্তু নিজেদেরও তো কিছু করতে হবে! শেষ সেশনে বৃষ্টি থামার পর দিনের খেলা বাকি ছিলো মাত্র ১৮.২ ওভার। কিন্তু মাঠে নেমেই হতাশ করেন দলের সবচেয়ে বড় ভসরা সাকিব আল হাসান। বৃষ্টির পর জহির খানের প্রথম বলেই জাজাইয়ের হাতে ক্যাচ দেন ৪৪ করা সাকিব।
ম্যাচের ১২ ওভার বাকি থাকতে মেহেদী মিরাজের ক্যাচ ছেড়ে দেন শর্ট লেগে ফিল্ডিং করার শহীদী। কিন্তু এক ওভার বাদেই রশিদ খানের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হতে হয় তাকে। রিভিউ নিয়েও লেগ বিপথর থেকে রক্ষা হয়নি। তাই-জুল ইসলাম কাটা পড়েন দুর্ভাগ্য আর আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে। স্পষ্ট ইনসাইড এজ হলেও আফগান ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
মেহেদী মিরাজ রিভিউ অপচয় করে যাওয়ায় আর রিভিউ নেয়ার সুযোগও ছিলো না বাংলাদেশের। শেষ উইকেটে নাঈম হাসান যখন ক্রিজে আসেন তখন খেলা বকি ৭.৩ ওভার। ৫ ওভার বকি থাকতে রশিদ খানের বলে মিসটাইমিং করে ক্যাচ তুলে দিয়েও রক্ষা পেয়ে যান সৌম্য সরকার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেই রশিদের বলেই কাটা পড়তে হয় সৌম্যকে। আর রশিদের হাতেই লেখা হয় আফগানদের গৌরবের ইতিহাস।
প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে অল আউট হওয়া বাংলাদেশের সামনে শেষ দিনে যখন টার্গেট ৩৯৮, ম্যাচটা হয়ত সেখানেই হেরে গেছে টাইগাররা। তারওপর আবার দ্বিতীয় ইনিংসের ১৩৬ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর জেতার সম্ভাবনা তো শেষ হয়েই যায়, সঙ্গে শঙ্কা জাগে লজ্জার হারের। শেষ দিনে বৃষ্টিতে ড্রয়ের আশা জাগলেও নিজেদের ন্যুনতম কাজটুকুও করতে ব্যর্থ হন শেষ চার ব্যাটসম্যান।