অনলাইন ডেক্স : যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলিউডের সুপরিচিত অভিনেতা নানা পাটেকার।পুলিশ বলছে, নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ’ পাওয়া যায়নি।
অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ তোলেন, নানা পাটেকারের ২০০৮ সালে একটি চলচ্চিত্রের সেটে তাকে যৌন হয়রানি করেন।পাটেকার বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৮ সালে ভারতে ‘মি টু’ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পাটেকারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি আবারও সামনে আসে।অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত পাটেকারের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করেন।
তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেন, একটি গানের ভেতরে অন্তরঙ্গ দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাটেকার চাপ দিয়েছিলেন। যদিও তনুশ্রী দত্ত বলেন, ধরনের দৃশ্যে তিনি অস্বস্তি বোধ করেন।
তনুশ্রী দত্ত বলেন, সে ঘটনার পরে তিনি অভিনয় ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর পাটেকার তাকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেন। সে সময় তার বয়স ছিল ২৪ বছর।
অভিযোগ অস্বীকার করে নানা পাটেকার বলেন, ‘যৌন হয়রানি বলতে সে কী বোঝাতে চাচ্ছে? আমরা যে সেটে কাজ করছিলাম সেটির সামনে ২০০ মানুষ বসা ছিল।’
তনুশ্রী দত্ত যে অভিযোগ তোলেন সেটির একটি অংশকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন অন্তত দুজন নারী।মুম্বাই পুলিশ বলছে, তনুশ্রী দত্তের অভিযোগের পক্ষে তারা কোনো প্রমাণ পায়নি।সে জন্য এ তদন্ত চালিয়ে যেতে তারা অপারগ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
২০১৮ সালে বিবিসির রেডিও ওয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রী দত্ত বলেন, ‘আমার জন্য এটা ছিল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা কারণ, সে (নানা পাটেকার) আমার পুরো শরীরে হাত দিয়েছে।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে তনুশ্রী দত্ত সেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাকে ‘অপেশাদার’, ‘পাগল’, ‘ড্রামা কুইন’- এসব শব্দের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছিল।
তনুশ্রী দত্তের আইনজীবী বলেন, মামলাটি পুনরায় চালু করার জন্য তার মক্কেল মুম্বাই হাইকোর্টে আবেদন করবেন।