এমরান হোসেন মিঠু

সন্দীপনা সাংস্কৃতিক ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি, নৃত্য, চারুকলা ও লোককলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে মাসব্যাপী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর গৃহীত কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আগ্রাবাদ এলাইট মোটরস্ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য বুদ্ধিজীবি, সাংস্কৃতিক সংগঠক-কর্মীগণ অংশ নেন। দিনভর কমসূচিতে ছিল- মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠে যুদ্ধ দিনের কথা, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, সঙ্গীত ও নৃত্যানুষ্ঠান, জাগরণের গান, বৃন্দ আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য প্রদর্শনী প্রভৃতি।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী দিনের “মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ দিনের গল্প” অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ভাষন রাখেন, সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, চবি গবেষক ভাস্কর ডি. কে. দাশ মামুন।

যুদ্ধ দিনের কথা শোনান- বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাপানের অনারারি কনস্যুলার মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শামসুদ্দিন, বাংলাদেশে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অব:) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নাছির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ^াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশাহ্ মিয়া চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল মালী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নেন- সংগঠক হাবিবুর রহমান হাবিব, কবি ফাদার জোসেফ জীবন গোমেজ, অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু, সংগঠক তাজুল ইসলাম রাজু, প্রধান শিক্ষক তরণী কুমার সেন, সংগঠক নিবেদিতা আচার্য, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, সাংবাদিক মুকুল শিকদার, সাংবাদিক হারুনুর রশিদ, আইটি এক্সপার্ট মো: রাকিব, মো: নুরুল কাদের, রাজনীতিক সিদ্দিকুল ইসলাম, চলচিত্র শিল্পী হুজুতুল্লাহ হিমু, কবিয়াল আব্দুল লতিফ, কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে, কবিয়াল শ্যামল দাশ, ভাষ্কর পীযুষ সরকার, সংগঠক মোশারফ হোসেন খান রুনু প্রমুখ।

যুদ্ধদিনের হৃদয় বিদারক স্মৃতিচারণ কারতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন- দেশ প্রেম আর ভাষা প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে একাত্তরে বাংলার নারী পুরুষ নির্বিশেষে যুতবদ্ধভাবে পাকিস্তানী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে ছিল। ত্রিশ লক্ষ প্রাণ আর দু’লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের দামে কেনা এই স্বাধীনতা কারো অনুগ্রহ নয়। অথচ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় এখনও পাকিস্তানী চাঁন-তারা মার্কা কচুয়া পতাকা উড়িয়ে সেই পরাজিত শক্তির চেতনার ধ্বজা উড়াতে চায় এদেশীয় দোসররা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে যখন স্বাধীন বাংলাদেশ সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কঠিন শ্রম ও মেধা লগ্নিপূর্বক উন্নয়নের রাজপথ ছুঁই ছুঁই করছে তখন নানান চোরাগোপ্তা কুট কৌশল সব ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন- আবার নতুন করে গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। নতুন প্রজন্মকে একাত্তরের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে অপকৌশল আর অপশক্তিকে বিতারণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন- শিল্পী মুসলিম আলী জনি, শিল্পী পুরঞ্জয় দাশ শিমু, ডা: শিল্পী শিউলী চৌধুরী, শিল্পী উজ্জ্বল সিংহ, শিল্পী বাসুদেব রুদ্র, শিল্পী বৃষ্টি দাশ, নন্দীনি দেব, শিল্পী সমীর চন্দ্র সেন, মৈত্রী আচার্য, সৌমেন আচার্য, মো: আজগর আলী, পলাশ কুমার রায়, তন্ময় পাল প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here