সুইমিংপুল থাকার পরেও অনেকে সুযোগ পাই না। শুধু খেলোয়ারদের জন্য নয় সবার জন্য এই সুমিং দরকার। যারা সুইমিং করে তাদের আর কোনো ব্যায়াম করতে হয় না। শরীরে যে একটা গঠন রয়েছে সুইমিংয়ের মাধ্যমে তা সুন্দর থাকে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর)সকাল ১১টায় নগরের আউটার স্টেডিয়ামে নবনির্মিত আন্তর্জাতিকমানের সুইমিংপুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, শহর অঞ্চালের ছেলে মেয়েরা সুইমিং ভুলে গেছে। আজকের ছেলে-মেয়েদদের সুইমিং করার মতো জায়গা নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যেগ নিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিন্তু অনেক জায়গায় এই সুইমিংপুলের সুষ্ঠ ব্যবস্থা নেই। সুইমিংপুল কিভাবে সুষ্ঠভাবে ব্যবহার করতে হবে তার জন্যও সকল প্রকার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিটি মেয়র মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, একটি সুইমিংফুল নির্মাণ করতে অনেকে না বুঝে বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু ক্রীড়া ক্ষেত্রে নতুন নতুন ক্রীয়াবিদ তৈরি করা দরকার। সুইমিং অনেকগুলো ক্রীড়ার মধ্যে লাইফলাইন হিসেবে কাজ করে। ফিটনেস যদি ধরে রাখতে হয় সুইমিংয়ের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা হলো একমাত্র সংস্থা যেখানে প্রতি বছর নিয়মিত ক্রীড়ার আয়োজন করে থাকে। বাংলাদেশের অন্য কোথাও এর দৃষ্টান্ত নেই। এসময় মেয়র এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও জিমনেশিয়ামের সংস্কারের জন্য মন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।

ড. মোহাম্মাদ জাফর উদ্দিন বলেন, সারা বাংলাদেশে আমরা নবজাগরণ সৃষ্টি করবো। আমাদের ক্রীড়া সংস্থা নিয়ে ২০টি প্রজেক্ট ছিলো। নতুন করে আরো ৪১ টি যোগ করা হয়ে। বর্তমানে ক্রীড়া সংস্থার অধীনে ৬১টি প্রজেক্ট রয়েছে। এসময় তিনি সুইমিংপুল সুষ্ঠু ব্যবহার ও রক্ষনাবেক্ষণের জন্য আহ্বান জানান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমাদেরর চ্ট্টগ্রামবাসীর জন্য আজ শুভদিন। কারণ বহুল প্রতীক্ষিত সুইমিংপুল উদ্বোধন করা হবে। চট্টগ্রামের যেগুলো নান্দনিক জায়গার রয়েছে তার মধ্যে একটি হবে এই এলাকাটি।

তিনি আরো বলেন, এই জায়গায় এক সময় মাদকসেবিরা মাদক সেবন করতো। আজ যেখানে সুমিংপুল শোভা পাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক, মো. শাহ আলম, চট্টগ্রাম সুইমিং উপ কমিটির চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, ক্রীড়া সংগঠক ও জয়নিউজ সম্পাদক মোহাম্মদ অহীদ সিরাজ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা জাতীয় ক্রীয়া পরিষদের এবং অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলো চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মার্চে ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত সুইমিং কমপ্লেক্সে রয়েছে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্য, ২২ মিটার প্রস্থ এবং ১ দশমিক ৮ মিটার গভীর ৮ লাইনের একটি সুপেয় পানির সুইমিংপুল।

এখানে রয়েছে খোলোয়াড়দের জন্য অত্যাধুনিক ড্রেসিং রুম, প্লেয়ার্স লাউঞ্জ, দেড় হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারি, বিশুদ্ধ পানির পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট, ডিপ টিউবওয়েল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২৫০ কেভি’র বিদ্যুৎ সাবস্টেশন এবং নিজস্ব পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here