আলোকিত সংলাপ :
ইয়ং জেনারেশন ; একটা ছেলের গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে তার কৈশর কাল ; এ সময়ে নিজেদের মস্তিস্ক ও শরীর দুটোই আলাদাভাবে যুক্ত থাকে ; তখন বাস্তবতা মনে হয় ফিল্ম জগৎ এর মত, যদি সেটা নায়ক এর মতোই হতো ভাল হতো, কিন্তু দেখা যায় ভিন্ন চরিত্র ; মারামারি,চাঁদাবাজি,খুন,ধ’র্ষনের মত অপরাধে লিপ্ত ; যার নাম : ” কিশোরগ্যাং “
তাকে ভয় পাবে, অন্যান্য ভদ্র ছেলেদের ধমক হুমকি থ্রেড দেওয়া,বুলিং সম্পৃক্তি কাজে জড়িত থাকা, স্কুলের সামনে সিগারেট খাওয়া,স্কুলের স্যার দের সাথে উগ্র আচরন করা, প্রতিবাদ করলে মারতে আশা জিবন নাশের হুমকি, মটর বাইক এ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে গিয়ে বাইকের আওয়াজ বাড়িয়ে দেওয়া, অতিরিক্ত স্পিড এ বাইক রাইড ও এলোপাতাড়ি বাইক নিয়ে মহড়া দেওয়া ; এক প্রকার উগ্রতা দিয়ে এলাকায় নিজের নামের সাথে যুক্ত করে দেয় ‘ কিশোরগ্যাং ‘
আবার কোন অপরাধ করলে বড় ভাই আছে বলে তার ইশারায় অন্যকে উত্তপ্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়াই যেনো পেশা ; বাবা/মা নামক শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিরা তার সন্তানের কাছে হয়ে যায় তার জিবনের সেরা শত্রু ; কারন তারা ছেলের কর্মকান্ড সোহ্য করতে না পেরে তাকে বকাঝকা তো দেয় আর সেও উগ্রতা দেখিয়ে ভাঙচুর বাবা/মা য়ের উপর হাত তোলা ও শুরু করে দেয়, আর এলাকার মানুষের কাছে সে নতুন এক মানুষ রুপ নেয় যার নাম ‘ ক্যান্সার ‘ বা আবর্জনা।
কিশোর বয়সে সাধারণত এটি হচ্ছে তার ডেইলি রুটিন ; সত্যতা হচ্ছে ; দেশের সেবা মানুষ এর সেবা নিজেকে আদর্শ করে গড়ে তোলা সিনেমার মত মনে হলে নিজেকে একটা নায়ক করে নিজেকে গড়ে তোলা যায়, যেনো সমাজে নিজেকে ক্যান্সার বা আবর্জনা না করে, সমাজের হিরো ও হওয়া যায়, দেখলে মানুষ সম্মান দিয়ে তোমাকে চেয়ার টা ছেড়ে দেয় ভয়ে নয়,শ্রদ্ধা ও সম্মানের কারনে।
এবার আসা যাক বড় ভাইয়া দের ব্যাপারে যাদের ইশারায় নিজেকে ধ্বংস এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা, অমুককে এই করতে হবে,সেই করতে হবে অমুক কে ভালো লাগেনা বলে উস্কানী দিয়ে তোমাকে ব্যাবহার তো করছে চাঁদাবাজি ও করছে, তুমি তার জন্য এত কিছু তো করলা, দিন শেষে তুমি তার জন্য বিপদে পড়েছো ঠিক অই সে তোমাকে উদ্ধার না করলে সেও ফেঁসে যাবে তোমাকে উদ্ধার করে অনেক বড় বড় কথা ‘ হ্যা! আমি তোমাকে উদ্ধার করছি এই সেই ; এই কথা যতদিন তুমি তার আয়ত্বে আছো ততদিন অই তোমাকে শোনাবে ; আর তোমাকে তার কাজে ব্যাবহার করাবে, আর তুমিও ভাইয়ের আশির্বাদ নিয়ে একটার পর একটা সমাজ ও দেশের অমঙ্গল কাজে জড়িত হচ্ছো!! ~ অপরাধ মুলক কাজ শেষে অমুক ভাই তোমাকে আশির্বাদ দিচ্ছে আর সেটাকে অনেক বড় কিছু ভাবছো!! ভাই সাথে আছে এই সেই ভেবে, অপরাধে যুক্ত শরীরের রক্ত টগবগ করছে, নিজেকে তো অনেক কিছুই মনে হচ্ছে,
একদিন তুমি অই মানুষ গুলোর বাস্তব চেহারা দেখবা ভেবে বললে ভাই ‘ আমি আর পারবোনা কাজ করতে আমি এখান থেকে সরে আসতে চাই ‘ ভাই ও হ্যা ওকে সমস্যা নেই এই সেই বলে তোমাকে বিদায় তো দিলো, কিন্তু তার ও তো ভয় হয় কারন তুমি ভাল দের খাতায় নাম লিখেয়েছো তাকে আর তোমাকে প্রয়োজন পড়বে না! আর সে ও তোমাকে ব্যাবহার করতে পারবেনা, শুরু করতে যাচ্ছ নতুন এক জিবন ‘ ঠিক তখনি যাকে এতদিন ভাই বলে দেখে এসেছো তার নতুন এক রুপ নেবে সেই সিনেমার নাম হবে ‘ ভাই যখন শত্রু ‘
তুমি ভিলেন থেকে হিরো চরিত্রে আসার পর বাস্তবতা দেখতে পাবে এই দুনিয়া কতটাই না নিষ্ঠুর ‘ আপন মানুষ গুলোকে তো অবহেলা করলা এত মানসিক অত্যাচার করলা তাদের সাথে কিন্তু ‘একটু চোখের পানি ফেলে ক্ষমা চাওয়াতে তারা তোমাকে তো বুকে টেনে নিলোই ঠিক অই তোমাকে যেকোনো বিপদ থেকে উদ্ধার করতে তারা প্রস্তুত।
তুমি এখন বুঝতে পারছো কে তোমার সত্যিকারে ভালবাসে আর কে তোমাকে ব্যাবহার করছে ‘ এবার তুমি দেশের উন্নয়ন মূলক কাজ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করার জন্য মনোযোগী হচ্ছো ‘ আগে পুলিশ নিরাপত্তার জন্য তোমাকে বন্ধী রাখতো তখন তোমাকে ব্যাবহার করা ভাই তোমাকে ছাড়াতো!
কিন্তু এখন তুমি ভাল কাজে অংশ নিয়েছো মানুষের সেবা করছো দেশের কাজে নিজেকে আগ্রহী করতেছো তখন আগের করা অপরাধের জন্য পুলিশ তোমাকে গ্রেফতার করতে আসলেও এবার আর তোমার বড় ভাই লাগবেনা, দেশের মানুষ গুলো সহ দেশের জন্য কাজ করা প্রতিটা সংস্থা তখন বাধা দিবে। তুমি যদি সত্যিকার ভাবে পরিবর্তন হও তবে এটাই বাস্তবতা হয়ে দাঁড়াবে।
তবে এখনো সময় আছে যারা তোমাকে দেশের অমঙ্গল কাজে ব্যাবহার করছে তাদের কাছ থেকে সরে এসে দেশের ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করো, সমাজের জঞ্জাল না হয়ে হিরো হতে শিখো দেখবে পরিবার,দেশের মানুষ তোমার সাথেই আছে, অপরাধ করানো কোন ভাইকে তখন দরকার পড়বেনা।
এখন প্রশ্ন তোমার কাছে ‘ তোমার চরিত্রে হিরো হয়ে থাকা ভাল নাকি সমাজের দূষন জঞ্জাল আবর্জনা?