মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ মননশীল কথা সাহিত্যিক ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক হিসেবে সুপরিচিত। সমকালে রাজনৈতিক ইতিহাস রচনা করে তিনি খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন। আজ তাঁর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী।

মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর জন্ম ১৯০৭ সালের ১ মার্চ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। সন্দ্বীপ কার্গিল হাই স্কুল থেকে ১৯২৪ সালে প্রবেশিকা পাস করেন তিনি। কিন্তু পিতার আকস্মিক মৃত্যু হলে আর্থিক সংকটের কারণে পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। আট বছর পর চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ইংরেজি অনার্সে ভর্তি হন। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে এখানেই লেখাপড়ার ইতি টেনে কাজের সন্ধানে চলে যান পূর্বতন রেঙ্গুনে। সেখানকার ‘ডেইলি নিউজ’ পত্রিকার অনিয়মিত সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবনের সূচনা তাঁর। রেঙ্গুন থেকে দেশে ফিরে সন্দ্বীপ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেছেন কিছুকাল।
পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। যুক্ত হন ‘দৈনিক আজাদ’ ও ‘দৈনিক ইত্তেহাদ’ পত্রিকায় সহ-সম্পাদকের কাজে। তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের তথ্য বিভাগেও কাজ করেছেন দীর্ঘকাল। তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘লালকোর্তা’। এই নামে তিনি পত্র-পত্রিকায় লিখতেন। ওয়ালিউল্লাহর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: ‘সংবাদ ও সাংবাদিক’, ‘সেকালের কথা’, ‘সেকালের কাহিনি’, ‘বিচিত্র জীবন’, ‘ফাঁসির মঞ্চে’, ‘যুগ বিচিত্রা’, ‘আমাদের মুক্তি সংগ্রাম’, ‘জীবন জাগার কাহিনি’ প্রভৃতি। ‘যুগ বিচিত্রা’ লেখকের আত্মকথনমূলক রচনা। এই গ্রন্থে পরম নিষ্ঠার সাথে লেখক তুলে ধরেছেন ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস। ১৯৭৮ সালের ৩ আগস্ট প্রয়াত হন মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here