
“মুক্তিযুদ্ধে দুই শহীদ সন্তান হারানো বীরাঙ্গনা সাহিত্যিক সর্বোপরি একজন মুক্তিযুদ্ধের লেখক রমা চৌধুরীর নাম দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বৎসর পরেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ও গেজেটে না ওটাই অনূষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট জন এবং সাধারণ বক্তারা বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করা রমা চৌধুরী একজন কিংবদন্তী। কঠিন জীবন যাপনকারী মুক্তিসংগ্রামে নিজের সম্ভ্রম ও দুই সন্তান হারানোর পরেও স্বাধীন দেশে কারো সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া এক স্বকীয় জীবন যাপন করে গেছেন। যা নতুন প্রজন্ম এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এক গবেষণার বিষয়। এই চিত্রের আলোকে এবং প্রাপ্য সম্মানের জন্য উপস্থিত বক্তারা রমা চৌধুরীকে অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিশেষ দাবী জানিয়েছেন। রমা চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রমা চৌধুরী স্মৃতি সংসদের আয়োজনে ও সিআরবি রক্ষা নাগরিক সমাজের সার্বিক সহযোগিতায় গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকের ৪ টায় সিআরবির সাত রাস্তার মোড়ে স্মরনানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রমা চৌধুরী স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক রীতা দত্তের সভাপতিত্বে সংগঠনের সমন্বয়কারী আলাউদ্দিন খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান ভাস্কর ডিকেদাশ মামুন নির্মিত রমা চৌধুরীর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মৃতিচারণ এবং ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

রমা চৌধুরীর বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে কবিতা আবৃত্তি করেন, জাবেদ হোসেন, মিলি চৌধুরী, হিরন্ময় বড়ুয়া, সৈয়দা আরশি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে আলোকিত করেন রমা চৌধুরীর ভাষ্কর্যের স্রষ্ঠা ভাস্কর ডি কে দাশ মামুন। সংগঠনের সদস্য সচিব শামসুজ্জোহা আজাদ পলাশ, আলোকিত বোয়ালখালীর সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম রাজু, যুবনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাহিদ তানছির, শিমু, সৌমেন, শরিফুল ইসলাম শরিফ, এম এ জলিল, সঞ্জয় আচার্য্য, সাকিব সাখওয়াত প্রমুখ।
রমা চৌধুরীর নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় উঠানো এবং রাষ্ট্রীয় পদক প্রদানের আহবান