মামলা আতংকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নিজ ঘর-এলাকা ছাড়া বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউ মামলার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেন না। জুলুম-নির্যাতন সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছে। ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিলো।
শনিবার (২০ জুলাই) নগরের কাজির দেউড়ীর নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে সার্বভৌমত্বের প্রতীক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ৩০ থেকে ৪০ বছর দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে এখনও ৩৬টি মামলা দেয়া আছে। বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা ভালো নেই। তার ব্লাড প্রেশার ও সুগার ওঠা নামা করছে। কিন্তু বেগম জিয়ার প্রাপ্য চিকিৎসাসেবা তাকে দেওয়া হচ্ছে না। অতি দ্রুত মুক্তি দিয়ে তার প্রাপ্য চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের হাতে এখন সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ। বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, আইন বিভাগসহ সাংবিধানিক সব বিভাগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই সরকার চাইলেই বেগম জিয়া মুক্তি পাবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের অনেক জায়গায় বন্যা হচ্ছে। লাখো মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে সরকারের মাথাব্যথা নেই। বন্যাপীড়িতদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা। তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এখন মৌলিক অধিকারও হরণ করছে।
নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ডাক আসার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, নজরুল ইসলাম, গয়েশ্চর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।