নিজস্ব প্রতিবেদক : দুইবারের নির্বাচিত কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মৃণাল কান্তি বিশ্বাস (টিটু মেম্বার) জীবনের বাকি সময়টুকু মানুষের সেবায় ব্যয় করতে চান। সেই লক্ষ্যে কধুরখীল ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছর পর কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবার। তাই উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে এলাকার ভোটারদের মাঝে। ৬নং ওয়ার্ডেও বইছে নির্বাচনী আমেজ। এ ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৮জন প্রার্থী। তৎমধ্যে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে পাশে থাকা মৃণাল কান্তি বিশ্বাস (টিটু মেম্বার) ৩য়বারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
মৃণাল কান্তি বিশ্বাস টিটু মধ্যম কধুরখীল গ্রামের মৃত ননী গোপাল বিশ্বাসের দ্বিতীয় ছেলে। এলাকার ছোট-বড় সবার কাছে টিটু মেম্বার নামেই পরিচিত তিনি।
ইতিমধ্যে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করলে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে বিপুল ভোটে আবারো বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ এলাকাবাসীর।
মৃণাল কান্তি বিশ্বাস টিটু বলেন, ‘নানান সীমাবদ্ধতার মাঝেও বিগত দিনগুলোতে চেষ্টা করেছি এলাকার মানুষগুলোর সাথে থাকার। তাঁদের সহযোগিতার কারণে জীবনের ২১টি বছর কাটিয়ে দিয়েছি এলাকাবাসীর সেবায়।’
‘এলাকার মানুষজনের অধিকার আদায়ে সবসময় কাজ করে চলেছি। এরই মধ্যে এলাকার অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন, এসেছেন নতুনেরা। তাঁদের নিয়েই মূলত আমার সংসার। জীবনে চাওয়া পাওয়ার আর তেমন কিছুই নেই। এলাকাবাসী যদি চান, জীবনের বাকি সময়টুকু তাঁদের সেবা করেই কাটিয়ে দিতে চাই।’
তিনি জানান, এ ওয়ার্ডের বিধবা, বয়স্ক, মাতৃত্ব ও প্রতিবন্ধিদের ভাতা নিয়ম অনুসারে দেওয়া হচ্ছে। ভিজিডি ও ভিজিএফ চালু রয়েছে দু:স্থ পরিবারগুলোর মধ্যে। এছাড়া এলাকায় প্রতিটি সড়ক সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে। এ ওয়ার্ডে একটিও কাঁচা সড়ক নেই। এবার নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা ও সরকার ঘোষিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে কাজ করবো।
১৯৯৮ সালে এলাকাবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন টিটু মেম্বার। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার উন্নয়নে রাস্তাঘাট, কালভার্ট নিমার্ণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নিরলস পরিশ্রমের ফলে এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। এলাকাবাসী তার পরিশ্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৩ সালের ইউনিয়ন নির্বাচনে আবারো নির্বাচিত করেন তাকে।
মৃণাল কান্তি বিশ্বাস টিটু সফল ইউপি সদস্য হিসেবে পেয়েছেন সামাজিক নানা পুরুস্কার ও সম্মাননা। এরমধ্যে ইউনাইটেড মুভমেন্ট হিউম্যান রাইটস কর্তৃক মানবাধিকার শান্তি পদক’১৫, জার্নালিষ্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটস কর্তৃক নেলসন ম্যান্ডেলা সম্মাননা পদক’১৬ ও প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে মানবাধিকার শান্তি পদক’১৭ উল্লেখযোগ্য।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়, ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ ও ১৪ অক্টোবর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান পদে ৫জন, ৯টি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে ৫৮ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আবো/দেবাশীষ/পিএস/রাজু/