অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নানা সময়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তাঁর শূন্যতা কখনো পূরণ হবে না। তিনি চট্টগ্রামের নেতা হলেও একজন জননেতা হিসেবে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত পরিচিতি পেয়েছিলেন।
গতকাল শুক্রবার সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হোটেল সৈকতের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘মতভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও মহিউদ্দিন ভাই কখনো দলের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনার বাইরে যাননি। আমরা দুজন মিলেমিশে একসঙ্গে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগকে মজবুত ভিত্তি তৈরি করতে পেরেছি।’
আ জ ম নাছির উদ্দীন আরও বলেন, এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী জনগণের সঙ্গে দলের সেতুবন্ধ তৈরি করেছেন। তিনি জনগণের চাওয়া-পাওয়া ও মুখের ভাষা বুঝতেন। মানুষের শিরা-উপশিরার প্রবহমান রক্তের উত্তাপ অনুভব করতেন।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, খোরশেদ আলম, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা এ কে এম বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক সেলিনা আখতার। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মো. সাহেদ সরওয়ার, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. জাহেদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ হোসেন প্রমুখ।