আবো. প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার শরিফ ‘দরবারে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী’র গাউসিয়া হক মনজিলের সাজ্জাদানশীন ‘শাহানশাহ্ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.) ট্রাস্ট’ -এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি হজরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (ম.) এক বিবৃতিতে সভ্য সংস্কৃতির ভূমি হিসেবে পরিচিত ফ্রান্সে বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠতম মানব হজরত মুহাম্মদ (সা:)-এর ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন এবং ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে’-এর প্রতি বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্টের সমর্থনকে ‘সাংস্কৃতিক বিকারগ্রস্ততার লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক মন্দা, জাতীয় আয়ের সূচকে পতন এবং আসন্ন নির্বাচনে ডানপন্থী বর্ণবাদী প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারের আশঙ্কায় বেসামাল প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফরাসি বিপ্লবের উজ্জ্বল পৃষ্ঠায় কালো আঁচড় বসিয়েছেন এবং শান্তি ও সহাবস্থানের পথে কণ্টক বিস্তার করছেন, যা নিতান্তই অবাঞ্ছিত।
বিবৃতিতে সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (ম.) আরো বলেন, বিকারগ্রস্ততা, মতলববাজী ও অশুভ উদ্দেশ্যে কোন্দল সৃষ্টিকে ‘বাক-স্বাধীনতা’ বলে চালানোর এই ভূতুড়ে প্রয়াস নিতান্তই হাস্যকর। রুশো ভল্টেয়ার, রেঁনে ডেকার্তের মতো মনীষীদের জন্মভূমির শীর্ষ সরকার প্রধানের মর্যাদার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়।
তিনি দুঃখ করে বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে অস্তিত্ব সঙ্কটে জর্জরিত একটা বিকৃত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী তাদের রুটি-রোজগারের পথ হিসেবে ইসলাম ও ইসলামের মহান নবী হজরত মুহাম্মদকে (সা:) নিয়ে অত্যন্ত নীচ ও ঘৃণ্য কুৎসাকে ব্যবসায় ও উপার্জনের পথ হিসেবে অবলম্বন করতে কুণ্ঠিত হয় না।
এ ধরনের অসভ্যসূচক কাজ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের সহজ পন্থা হিসেবে পাশ্চাত্যের কোনো কোনো দেশের এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদকে এ ধরনের নোংরা পথ অবলম্বন করতে দেখা যায়, যা ঘৃণ্য বর্ণবাদ ও অসহিষ্ণু সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি থেকে এসব অবাঞ্ছিত মানসিকতাকে বিসর্জন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানসিক ও সাংস্কৃতিক সুস্থতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হলে কোনো বিশেষ সমাজ বর্বরতার কদর্যতায় ঢাকা পড়তে পারে।
উপসংহারে তিনি মুসলিম উম্মাহ’র পবিত্র আবেগের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং আল-কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘হায় আফসোস, এই বান্দাদের জন্যে, তাদের নিকট এমন কোনো রাসূল আসেনি, যাদের প্রতি তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ না করেছে।’