আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আপনারা হয়ত বেশি আর কম আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারী হুজুরকে চিনেন। উনাকে নতুনভাবে চেনানোর কোন প্রয়োজন নেই বলে মনে করি। ওনি মাইজভান্ডারী শুধু নন বরং মাইজভান্ডার দরবারের শরাফত তুলে ধরার একজন নিখুত কারিগর! তাইতো নির্দিষ্ট একটা চক্র উনাকে সহ্য করতে পারেনা অপরাধ একটাই উনি মাইজভাণ্ডারী। বর্তমানে তো খালি কলসী বাজে বেশি যাদের ভেতর যাদের ভেতর তাসাউফের মণি মুক্তায় ভরপুর তারা চুপ থাকেন তেমনি একজন আলেম আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারী ।
তিনি নয়, তার পরিবারসহ মাইজভান্ডার দরবার শরীফের জন্য তারা তাদের মেধা, শ্রম আর মূল্যবান সময় কুরবান দিয়েছিলেন, দিচ্ছেন ইনশাআল্লাহ দিবেন।ওনি একদিকে আলেম,আবার গবেষক ও স্কলার।লোক দেখানো নয় বলে,ওনার সম্পর্কে অনেকে এতবেশী হয়তো যানেন না। হা আমি মাইজভান্ডারী ওলামা পরিষদের মহাসচিব নির্লোভ, নিরহংকারী, আদবওয়ালা আর গোলামে মাইজভান্ডারী আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারীর কথা বলছি।

দরবারি হওয়ার কারনে ছোট বড় অনেক আলেমকে কাছ থেকে দেখেছি হাদিয়ার টাকা গুনে গুনে নিতে, আবার ভাত খাবেনা তাই বিশ মিনিটের ভেতর রুটি বানাতে বাধ্য করা আলেম ও দেখেছি, কন্টাকের বাইরে টাকা নেওয়ার আলেম ও দেখেছি, আবার নিজেদের ভেতরের দলাদলি ফ্যাসাদের কারনে আমাদের মাহফিলের সৌন্দর্য নষ্ট করা আলেম ও দেখেছি,তিন মাস কষ্টের মাধ্যমে আয়োজিত মাহফিল নিজেদের দলাদলির কারনে তিন মিনিটে একজন সুন্নি আলেম (উনি নাকি আবার বুলবুলে আহলে সুন্নাত) আর তাদের সুন্নি রাজনৈতিক পরিচয় ধারী কিছু বিপদগামী কর্মীদের উগ্রতা নিজ চোখে দেখেছি কিন্তু এই সবকিছুর বাইরের একজন আলেম তিনি আমাদের আজাহারি।।

যাকে কিছু হাদিয়া দিতে আমার যথেষ্ট কষ্ট হয়েছিল, হাদিয়ার খাম ধরেই বলে দিলেন এত টাকা কেন? আমি বললাম সামান্য গাড়ি ভাড়া দিলাম মাত্র আর উনি আমাকে বললেন হাদিয়ার জন্য তো আসিনি ভান্ডারীর গোলামী করতে এসেছি। সেদিন বুঝেছি প্রকৃত মাইজভাণ্ডারীরা কেমন হয়, আরো প্রমান পেলাম যখন খেতে বসলেন একদম সিম্পল খাওয়া দাওয়া।।অনেক আলেমকে দেখেছি রাসুলে পাক দঃ এর পেট মোবারকে পাথর বাধাঁর তকরির করে স্টেজ থেকে নেমে ৭/৮আইটেমে ও তৃপ্ত হয়না।।
তাইতো আমাদের আজহারী আমাদের গর্ব আমাদের সম্পদ, প্রকৃত গোলামে মাইজভান্ডারী। তাই ওনাকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করলে মাইজভাণ্ডারীরা তাদের ছাড় দিবেনা। ইনশাআল্লাহ।।

ওনাকে খুব কাছ থেকেই ছিনি, অন্তরে নেই কোন মুনাফেকি উপরে যেটা ভেতরে ও সেটা। অনেক আলেমকে দেখেছি মাইজভান্ডার শরীফ গেলে বা মাইজভান্ডারী ঘরানার মাহফিলে গেলে জোরে জোরে হুজুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর শান বয়ান করতে করতে মুখ দিয়ে ফেনা বের করে আমাদের খুশি করে দেন।অথচ অন্য কোথাও গেলে শহর বাসের মত নাস্বার প্লেট পাল্টে হয়ে যান মাইজভান্ডার বিদ্বেষী, আবার কেউ আকারে ইঙ্গিতে আবার কেউ সরাসরি মাইজভান্ডারী তরিকা নিয়ে বিষেদগার করেন।
যে শেরে বাংলা (রহঃ) হুজুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর নাম মোবারক নিজের মুখের অজিফা বলেছিলেন সে শেরে বাংলা (রহঃ) সহ সকল পরিচিত অপরিচিত অলি আর পীরদের নাম মিলাদ কিয়ামে হুজুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর নাম নিতে লজ্জাবোধ করে সেই খমবখত চক্রের আলেমরা। কারন অন্তরে মুনাফেকি মিশ্রিত মাইজভান্ডারীরা এদের দাওয়াত করার সময় হিসেব করে দিবেন মনে রাখবেন এমন দ্বিমুখী আলেমগুলো আমাদের কখনো আপন ছিলনা হয়তো দাওয়াতের জন্য আপনে অভিনয় করে।

তবে সবার চেয়ে ব্যতিক্রম কিছু মাইজভান্ডার প্রেমী আলেম আছে যারা ফুল বিছানায় গাউসে ভান্ডারীর শানমান যেমন বয়ান করতে পারবে তেমনি পারবে তলোয়ারের নিচে ও। তার মধ্যে অন্যতম এই আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারী। তাই ইদানিং উনার ব্যাপারে কিছু মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্র দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর প্রতিবাদ করতে বাধ্য হলাম। কারন না করলে নিজেকে বড় অপরাধী মনে হবে সারাজীবন। কারন উনি কেমন, তা আমি আমরা ভাল করে জানি।

ইদানিং একটা চক্র হিংসাপরায়ন হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে উনি নাকি শিয়া আর জামেয়া বিদ্বেষী নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক। এরপর ও কিভাবে চুপ থাকি? যারা মিথ্যা অপবাদ দেয় তারা অবশ্যই মুনাফিক চক্র। মনে রাখবেন যারা ছিরকোটি পরিবারের প্রকৃত গোলাম তারা কখনো মাইজভান্ডার শরীফের সাথে বিদ্বেষ রাখতে পারবেননা। কারন এই দরবারের যারা পীর সাহেবরা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন কিভাবে মাইজভান্ডার শরীফকে ভালবাসতে হবে তারপরও কেউ অন্তরে বিদ্বেষ রাখে তাহলে তারা মুরিদ নামের কলংক।।
তেমনি যারা মাইজভান্ডার শরীফের গোলাম তারা কখনো জামেয়ার বিরোধীতা করবেনা কারন। এটা প্রকৃত মাইজভাণ্ডারীর নীতি আদর্শ নয়।।
সকলে অবগত আছেন পাকিস্তানের ছিরকোট দরবারের সাথে মাইজভান্ডার শরীফের রুহানি একটা সম্পর্ক রয়েছে যা ছিরিকোট দরবারের আউলাদে পাকরা বিভিন্নভাবে ভাবে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন তা আজ নতুন করে বলার কিছু নেই।।
একটা চক্র আছে মাইজভান্ডার শরীফ আর জামেয়াকে একটার বিপরীতে আরেকটিকে দাঁড় করাতে চায় যা চরম বিয়াদবি। যার কারনে মাঝে মাঝে আমাদের ভেতর ফিৎনা ফ্যাসাদের আশংকা দেখা যায়। যা সত্যিই আফসোসের বিষয়।

শায়েস্তা খান আজহারী কে ?

উনি মাইজভাণ্ডারী ঘরানার আলেম হলেও জামেয়ার প্রতি উনার ভালবাসা গভীর। কারন এই জামেয়ারই ছাত্র উনি আবার আজহার থেকে এসেও নিজের প্রিয় মাদ্রাসাতেই শিক্ষকতায় যোগদান করেছিলেন। কিন্তু কোন এক অশুভ ছায়ার কারনে ইস্তফা দিতে হয়েছিল এই দায়িত্ব থেকে। হয়তো আজো এর রেষ কাটেনি নইলে এত বড় অপবাদ দেওয়ার সাহস কি করে হয় ?
যারা অহেতুক বাড়াবাড়ি করতে চায় তাদের বলব একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে জনাব। মাইজভান্ডার শরীফ আর জামেয়ার মুহাব্বত সুন্নি জনতার অন্তরে রয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু নির্কৃষ্ট লোক মিথ্যার আশ্রয় নিলেও কোন লাভ নেই। কিছু ভক্তের কারনে যেমন মাইজভান্ডার শরীফ খারাপ হয়ে যাবেনা তেমনি মুষ্টিমেয় কিছু আলেমের কারনে জামেয়া ও খারাপ হয়ে যাবেনা। তাই আল্লাহর দোহাই কেউ নোংরামির আশ্রয় নিবেননা। আর ব্যক্তি দোষ পীর বা প্রতিষ্ঠানের দিকে নিয়ে যাওয়া টা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

কি শুরু করেছেন আপনারা?
সামান্য মতের অমিল হলেই আর ব্যক্তি স্বার্থের জন্য যদি যাকে তাকে জামেয়া বিদ্বেষী আর শিয়া বানিয়ে দেন এটা আশেকানে মাইজভাণ্ডারীরা কখনো সহ্য করবেননা।
মওলা আলী শেরে খোদা কখনো মদ পান করেননি এই ঈমানের কারনে যদি আজহারী শিয়া হয় এই বিশ্বাস তো কোটি কোটি সুন্নি জনতার তাহলে তারা কি সবাই শিয়া? কয়জনকে জামেয়া বিরুধী আর শিয়া বানাবেন ?আপনাদের কি আল্লাহ পাক এই ফিৎনাবাজি করার জন্য দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন?
যার তার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া যাদের বদঅভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে তাদের খেদমতে বলতে চাই আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারী হুজুরের বিরুদ্ধে অপবাদ সহ্য করা হবেনা। মাইজভাণ্ডারীরা শিয়া নয় যারা শিয়াবাদের মিথ্যা তকমা দিতে চায় আর মাইজভাণ্ডারী তরিকার নামে বিদ্বেষ ছড়ান এরাই আসল শিয়া আর মুনাফিক।
সময় থাকতে সংশোধন হোন যদি আল্লামা শায়েস্তা খান আজহারী- এর বিরুদ্ধে নোংরা ষড়যন্ত্র আর অপবাদ দেওয়া হয় তাহলে আমরা মাইজভান্ডারীরা তা প্রতিহত করবো। কারন উনি জামেয়া বিদ্বেষী বা শিয়া কোন টা নয়। উনার পরিচয় উনি একজন সুফিবাদী স্কলার, আহলে বায়াতের প্রেমিক আর শেষ পরিচয় সকল আমিত্বকে ত্যাগ করে নিজেকে মাটির মানুষে পরিনত করে হয়ে গেছেন প্রকৃত গোলামে মাইজভান্ডারী।
ওনাকে আল্লাহ পাক হুজুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর ছদকায় মুনাফিকদের সকল ষড়যন্ত্র আর অপবাদ থেকে হেফাজত করুক। আমিন।

আর প্রিয় আশেকানে মাইজভাণ্ডারী সতর্ক হয়ে যান। যাকে তাকে মাইজভান্ডারী মনে করে ভুল করবেননা, মাইজভান্ডারী তরিকা বিরোধী কোন আলেমকে দাওয়াত দিবেননা । প্রয়োজনে নিজেরা নিজেরা তরিকার নিয়মে মিলাদ কিয়াম আদায় করুন। মনে রাখবেন মুনাফিক দিয়ে হাজার মানুষ জমায়েত না করে সামান্য উপস্থিতি দিয়ে অনেক শান্তি আর আল্লাহর রহমত পাবেন। দুনিয়া লোভী আলেমরা আপনার প্রোগ্রামে এমন মাইজভান্ডারী প্রেম দেখাবে তা দেখে প্রকৃত মাইজভান্ডারীরাও লজ্জাবোধ করবে। তাই এদের খপ্পর থেকে সাবধান।

আল্লাহ পাক এই চক্রের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুক। হুজুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কঃ) এর ছদকায় কবুল করুক। আমিন।

বিঃদ্রঃ আমার মত মানুষকে নিয়ে পর্যন্ত অপপ্রচার করা হয়, তাতে দুঃখ নেই। কারন আমি মুনাফিক নয় আমি মাইজভান্ডারী ।প্রতিবাদ করতে সৎ সাহস লাগে। আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করলেও দুঃখ থাকবেনা তবে প্রকৃত গোলামে মাইজভান্ডারীদের নিয়ে বিয়াদবি করলে ছাড় দেওয়া হবেনা। আমরা কেউ ভেসে আসিনি আর কারো পরিচয়ে আসরা চলিনা। সবাই বলতে চাই শুধু শায়েস্তা খান আজহারী নয় আমি আপনি আর পুরো মাইজভাণ্ডারী তরিকার অপপ্রচারকারীরা নির্দিষ্ট একটা চক্র। তাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকবেন। মনে রাখবেন, এরা জামাত শিবির, ওহাবি লা মাজহাবিদের চেয়েও ভয়ংকর, কারন এরা বন্ধু বেশে আমাদের আঘাত করে মুনাফিকের মত দ্বিমুখী নীতিমালা অনুস্বরন করে। অথচ এরাই আসল মুনকেরে মাইজভাণ্ডারী। কেউ গায়ে টানবেননা, যারা মাইজভান্ডারী তরিকার ব্যাপারে অন্তরে বিদ্বেষ রাখে এই লেখা একমাত্র তাদের খারাপ লাগার কথা।
কেউ নির্দিষ্ট কাউকে কটুক্তি করে কোন মন্তব্য করবেননা, করলে ডিলেট করে দেওয়া হবে, বাধ্য হয়েই লিখেছি কাউকে আঘাত দিতে নয়।

খোলা চিটির বিষয়ে মতামতের জন্য সম্পাদক বা এই অনলাইন নিউজ প্রাের্টাল দায়ী নয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here