পর্যাপ্ত মজুদের পাশাপাশি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও শুধু ভোক্তাদের আতঙ্কিত আচরণে অস্থির হয়ে উঠেছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে চাহিদার অতিরিক্ত মালামাল কিনতে থাকায় বেড়ে গেছে ভোগ্যপণ্যের দাম। একদিনের ব্যবধানে ডাল কেজি প্রতি ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। আদা-রসুন ও পেঁয়াজের দামও বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্য পণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে শত শত ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যানের সারি। মালামাল লোড-আনলোডে ব্যস্ত শ্রমিকরা। বলা চলে করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কোনো চিহ্নই নেই এখানে। অথচ আতঙ্কে একদিনের ব্যবধানে ৪৮ টাকার পেঁয়াজ ৬০ টাকা হয়েছে। আর কেজিতে আদা ৪০ টাকা, রসুনে বেড়েছে ১৫ টাকা।
চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের মেসার্স সালাম ট্রেডার্সের ম্যানেজার জুয়েল মহাজন বলেন, যার দু’বস্তা দরকার তিনি ১০ বস্তা নিয়ে যাচ্ছেন। চাহিদা বেশি থাকায় এ সুযোগটা নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ধীরে ধীরে দামও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
একই অবস্থা ডালের দামেও। মুগ-মসুর এবং ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত।
খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, পোর্ট যদি বন্ধ থাকে তাহলে আমার মনে হয় সঙ্কট সৃষ্টি হবে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম। ক্রেতাদের হুড়োহুড়ির কারণেই সঙ্কট না থাকা সত্ত্বেও পণ্যের দাম বাড়ছে বলে দাবি করেন খাতুনগঞ্জ মেসার্স আর এন এন্টারপ্রাইজের মালিক আলমগীর পারভেজ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারেও তেলের দাম কম, সরবরাহও ভালো। শুধু আতঙ্কের কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, চাল-তেল-ডাল সবকিছুই পর্যাপ্ত মজুদ আছে। এখানে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।
চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এবং আছাদগঞ্জে ভোগ্য পণ্যের ৫ হাজারের বেশি গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।