অনলাইন ডেস্ক : ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষে পর্বের ভোটগ্রহণ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ পর্বের সবেচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।
রবিবারের এ পর্বে সাতটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৯ আসনে ভোট হচ্ছে।
স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত ভোট দেবেন উত্তরপ্রদেশের ১৩টি, পাঞ্জাবের ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গের ৯টি, বিহারের ৮টি, মধ্যপ্রদেশের ৮টি, হিমাচল প্রদেশের ৪টি, ঝাড়খণ্ডের ৩টি ও চন্ডিগড়ের ১টি আসনের ভোটাররা।
রবিবারের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসন থেকে পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার জন্য লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বিহারের পাটনা সাহিব, পাতিলিপুত্র, পাঞ্জাবের গুরদাসপুর, অমৃতসর ও পশ্চিমবঙ্গের নয়টি আসনে।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভারতের এবারের লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যেই ৬ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শেষ দফায় মোদি ছাড়াও অন্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোজ সিনহা, রবিশঙ্কর প্রসাদ, এইচ কে বাদল এবং হরদীপ সিং পুরি। এছাড়াও ভাগ্য নির্ধারণ হবে কিরণ খের, সানি দেওল, রবি কিষাণের মতো বিজেপি-র তারকা প্রার্থীদের। ভাগ্য নির্ধারণ হবে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরৎ জাহানের। কংগ্রেসে রয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহা ও মীরা কুমারের মতো শক্তিশালী প্রার্থীরা।
উত্তর প্রদেশের বারানসি আসন থেকে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৩ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবারে তার বিরুদ্ধে লড়ছেন কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রায় এবং মহাজোট প্রার্থী সালিনি যাদব। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এই নির্বাচনে মোদির পরাজয়ের ভয় না থাকলেও কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্রের নির্বাচনী প্রচোরের পর টান পড়তে পারে মোদির ভোটব্যাংকে।
রবিবারের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের পাখির চোখ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৯টি আসনে। এই আসনগুলো হচ্ছে দমদম, যাদবপুর, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর। শেষ দফায় প্রশ্চিমবঙ্গে প্রধানত চতুর্মুখী লড়াই হবে। এতে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। সঙ্গে ভোট কাটতে রয়েছে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস। গত ছয় দফায় হওয়া রাজনৈতিক হিংসা মাথায় রেখে এবার পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের কাছে। শনিবারও রাজ্যটিতে নির্বাচনী সহিংসতায় যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৭১০ কোম্পানি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্যটিতে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ১০ মার্চ বিশ্বের বৃহৎ এই গণতান্ত্রিক রাষ্টের ৫৪৩টি আসনে লোক সভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ১১ এপ্রিল প্রথম পর্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্ব, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় পর্ব, ২৯ এপ্রিল চতুর্থ পর্ব , ৬ মে পঞ্চম পর্ব, ১২ মে ৬ষ্ঠ পর্ব ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ মে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হবে। বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ ৩ জুন শেষ হবে।