নগর প্রতিবেদক :
সন্দীপনা কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি, চারুকলা ও লোককলা বিভাগের যৌথ আয়োজনে খ্যাতিমান ভাষা বিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ৬২তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল সভা ১২ জুলাই সকাল ১১টায় সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, চবি গবেষক, ভাস্কর ডিকে দাশ মামুন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মানিত প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল ভাষন প্রদান করেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, কথা সাহিত্যিক প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। সম্মানিত আলোচকবৃন্দের মাঝে ছিলেন- চবি সিনেট সদস্য, বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ড. মঞ্জুর-উল-আমিন চৌধুরী, পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ সভ্য বিজ্ঞানী ড. অরুপ মিত্র, আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন রিচার্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেব কন্যা সেন, চবি অধ্যাপক সুফিয়া বেগম, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু, যুব নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সংগঠক উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, সমাজ ও সংস্কৃতি বিশ্লেষক দেবব্রত দে দেবু, অধ্যাপক উপনান্দ মহাথের, সাংবাদিক মুকুল শিকদার, শিক্ষাবিদ বাবুল কান্তি দাশ, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম রাজু, ডা: ডি কে ঘোষ, শিল্পি এম এ হাশেম, সংস্কৃতিক কর্মী রাহুল বড়ুয়া, কবিয়াল আবদুল লতিফ, কবিয়াল সন্তোস কুমার দে, নিবেদিতা আচার্য্য, প্রণব রাজ বড়ুয়া, ফটো আর্টিস্ট দেব প্রসাদ দাশ দেবু, মো: রাকিব, সংগঠক মোশারফ হোসেন খান রুনু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সমন্বয়ে ছিলেন- বাচিক শিল্পি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও নাট্যকর্মী নন্দীনি দেব।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’ই সর্বপ্রথম যুক্তি-তর্ক দিয়ে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বিবেচিত করার যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; যা ছিল জাতি হিসেবে বাঙালীর মৌলিক অধিকারের বিষয়। তিনি তার শৌর্যময় গবেষনামূলক সাহিত্য কর্মদিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম জাগরণ এবং বাঙালির চেতনা বিকাশের অগ্রদূত হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিলেন। জীবদ্দশায় বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। ভাষার জন্য তার এই অবদান চীর স্মরনীয় হয়ে থাকবে। এমনই তার ভাষার দখল ছিল যার জন্য তাঁকে বলা হতো “চলিষ্ণুবিদ্যাকল্পধ্রুম” বা “চলন্ত বিশ্বকোষ”। বিভিন্ন ভাষার প্রতি ছোটবেলা থেকেই ছিল তাঁর অদম্য আগ্রহ। তিনি বহু আশায় আক্ষরিক অর্থে পারদর্শী ছিলেন। তিনি তার কর্মজীবনে বাংলা অ্যাকাডেমির ইসলামি বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী সম্পাদক পদেও কাজ করেছিলেন। এছাড়াও বাংলা অ্যাকাডেমি প্রণীত বাংলা বর্ষ পঞ্জিকার তারিখ বিন্যাস কমিটির সভাপতি হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন । তাঁর নেতৃত্বে বাংলা বর্ষ পঞ্জিকা একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত রূপ লাভ করে।