আলোকিত ডেস্ক: বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের চেয়ারপারসনের পদ ছাড়লেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।ব্র্যাকে প্রায় অর্ধশত বছর সক্রিয়ভাবে কাজ করার পর অবসরে গেলেন তিনি। নতুন চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নিচ্ছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,অর্থনীতিবিদ,রাজনীতি ও সমাজ বিশ্লেষক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
মঙ্গলবার ৬ আগস্ট ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে এক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংখ্যক ব্যক্তিই উপস্থিত ছিলেন।
সক্রিয় পদটি ছেড়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিওটিতে সম্মানসূচক ‘চেয়ার এমেরিটাস’ পদে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন ফজলে হাসান আবেদ।
তবে স্যার ফজলে হাসান আবেদ প্রতিষ্ঠানটির কৌশলগত পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। বিশ্বব্যাপী ব্র্যাকের প্রভাব কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে জন্য কাজ করবেন।ব্র্যাকের হেড অব মিডিয়া এক্সটার্নাল রিলেশনন্স রাজিব ভৌমিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ব্র্যাকের দুটি প্রতিষ্ঠান।
ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল- এ দুই সংস্থার চেয়ারপারসন ছিলেন ফজলে হাসান আবেদ। কিন্তু বর্তমানে দুই সংস্থায় দুজন চেয়ারপারসন থাকছেন।এ ক্ষেত্রে ব্র্যাক বাংলাদেশের নতুন চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হক।এদিকে চেয়ারপারসনের পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আসছে।
ব্র্যাকের নতুন পর্ষদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিব এইচ খান, ইরিন খান, শফিকুল হাসান, ফাউজিয়া রশীদ, মালিসা পার্ক, কায়সার জামান ও ফাহিমা দাদা।৮৩ বছর বয়সী আবেদ ব্র্যাকের পাশাপাশি ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের পরিচালনা পর্ষদেও চেয়ারপারসনের পদে ছিলেন।গত সপ্তাহেই ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান আসিফ সালেহ। তিনি ইতিমধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
১৯৭২ সালে ফজলে হাসান আবেদের হাত ধরে যাত্রা শুরু করা ব্র্যাক এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও হিসেবে স্বীকৃত। এশিয়া, আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ডজনখানেক দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, বিশেষ করে ভারতে আশ্রয় নেয়া বিপুলসংখ্যক মানুষকে স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি (ব্র্যাক) নামে ব্র্যাকের কার্যক্রম শুরু হয়। িগণশিক্ষা থেকে শুরু করে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের মতো কাজের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হয় ব্র্যাকের কার্যক্রম।