স্থায়ীত্ব ধরে রাখতে ব্যাংকনোটের ওপর সব ধরনের লেখালেখিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেট করার সময় ব্যাংকের মুদ্রিত ফ্লাইলিফে ব্যাংকের শাখার নাম, সিল, নোট গনণাকারীর ও প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর ও তারিখ আবশ্যিকভাবে দিতে হবে।
সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এবিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশি টাকার ব্যবহার সময়কাল বৃদ্ধির লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট গ্রহণ, টাকা প্রদান এবং গনণাকরত: সর্টিং ও প্যাকেটিং করার সময় টাকার উপর কোনো প্রকার সংখ্যা লিখন, অনুস্বাক্ষর প্রদান, সিল প্রদান কিংবা অন্য কোনো ধরনের লেখালেখি করা যাবে না। নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেট করার সময় ব্যাংকের মুদ্রিত ফ্লাইলিফে ব্যাংকের শাখার নাম, সিল, নোট গনণাকারীর ও প্রতিনিধিগণের স্বাক্ষর ও তারিখ আবশ্যিকভাবে দিতে হবে’।
তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট ছাড়া অন্য কোনো মূল্যমানের নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোটের প্যাকেট স্ট্যাপলিং করা যাবে না। মূল্যমান নির্বিশেষে (১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট ছাড়া) সব নতুন ও পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেট ২৫ মি.মি. থেকে ৩০ মি.মি. প্রশস্ত পলিমার টেপ অথবা পলিমারযুক্ত টেপ পুরু কাগজের টেপ দিয়ে ব্যান্ডিং করতে হবে।
তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের নোটের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ব্যাংকনোট ব্যান্ডিংয়ে ব্যবহৃত আরও উন্নত প্রযুক্তির অনুসরণ করতে পারে। তবে তা যেন বর্ণিত ব্যান্ডিংয়ের চেয়ে বেশি কার্যকর হয়।
বাংলাদেশি ব্যাংকনোটগুলোর উপর সংখ্যা লিখন, সিল স্বাক্ষর দেওয়া ও বারবার স্ট্যাপলিং করার কারণে নোটগুলো অপেক্ষাকৃত কম সময়ে অপ্রচলনযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, টাকার উপর লাল, নিল, কালো বিভিন্ন কালিতে সংখ্যা লেখার আধিক্য বেড়েছে এবং এগুলো ব্যাংকারাই লিখে থাকেন। এছাড়াও সব মূল্যমানের পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট প্যাকেটে সিল দেওয়ার বিষয়টি প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নোটের স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে।