নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের বৈদ্যানী সড়কে বড় বড় গর্তে ভরপুর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনও চলে এই সড়ক দিয়ে ।

প্রায় ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটির ২ কিলোমিটার কার্পেটিং ও বাকি ২ কিলোমিটার ইটের। তবে দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় অসংখ্য স্থানে বড় বড় গত সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির পোহাচ্ছেন এলাকাবাসীসহ দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা।

গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বৈদ্যানি খালের ভাঙ্গনে এ দশার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চণ্ডীতীর্থ মেধস আশ্রম ও ঐতিহ্যবাহী বু-আলী কালন্দর শাহ’র (রহ.) মাজার যাতায়াত করেন শতশত পুর্ন্যার্থী এবং দর্শনার্থীরা।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়নের ভুবন বিশ্বাসের পোল থেকে বু-আলী কালন্দর শাহ মাজার গেইট পর্যন্ত বৈদ্যানী সড়কটির পুরো অংশে ছোট-বড় গর্ত। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী স্থানীয় কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ, পিসি সেন সারোয়াতলী উচ্চ বিদ্যালয়, এফ আর নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়সহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। পূর্বাঞ্চলের জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে নগরীর সঙ্গে যাতায়াতের অন্যতম সড়ক হলেও চরম অবহেলিত রয়ে গেছে। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চল থেকে কোন রোগী এ সড়ক দিয়ে আসার সময় রোগীর অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়ে। কড়লডেঙ্গা পাহাড়ে লেবু, আদা, হলুদসহ উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল এ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রামে পাইকারি বাজারে নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও নগরীর থেকে আড়তদাররা পাহাড়ে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের জন্য পাহাড়ের পাদদেশে স্থানীয় বাজারে যাওয়ার জন্য এ সড়কটি ব্যবহার করেন। বেহাল দশা এ সড়কটির জন্য কোন পণ্যবাহী গাড়ি পরিবহনে রাজি হয় না। কোন যানবাহন পণ্য বহনে রাজি হলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুণে এসব মালামাল নগরীসহ স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে আনতে হয়। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে পণ্যের দামও বেড়ে যায়। এক সময় এ সড়ক দিয়ে কানুনগোপাড়া দাশের দিঘী পাড় হয়ে নগরীর বহদ্দার হাট বাস স্টেশনে যাতায়াত করত কানুনগোপাড়া বাস সার্ভিস।

করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক মান্নান বলেন, এলাকার উন্নয়ন ও পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী সাশ্রয়ে পরিবহনের জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার করা খুবই জরুরি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, বৈদ্যানী সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here