নিজস্ব প্রতিবেদক:

খানাখন্দে ভরপুর সড়ক। বেশির ভাগ জায়গায় নেই কোনো বিটুমিন। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। হালকা বৃষ্টিতে জমে থাকে পানি। পদে পদে দুর্ঘটনার শঙ্কা।

এমন দৃশ্য বোয়ালখালীর শাকপুরা ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের শাকপুরা-দাশের দীঘি সংযোগ সড়কের।

এই দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা বলছেন- ভান্ডাল জুরি পানি প্রকল্পের কাজ এবং সড়কের পাশ দিয়ে পাইপলাইন বসানোর কারণে সড়কটির এই বেহাল দশা হয়েছে।

তবে চেয়ারম্যানদের এই যুক্তি মানতে নারাজ এলাকার স্থানীয়রা।

তারা বলছেন, গত পাঁচ বছর ধরে এই সড়কের বেহাল দশা। শুধুমাত্র ওয়াসার কাজের অজুহাতে এই সড়ক সংস্কার হচ্ছে না তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

নয়ন মজুমদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, শাকপুরা থেকে দাশের দীঘির পাড় পর্যন্ত দশ মিনিটের পথ। অথচ এখন সময় লাগছে ঘণ্টা খানেক। অনেক সময় কাঁদা পানিতে আটকে যায় গাড়ি।

‘বিশেষ করে প্রসূতি ও অসুস্থ রোগী নিয়ে শহরে যাওয়া আসা করতে দুর্ভোগে পোহাতে হয়। এ সড়ক দিয়ে রোগী নিয়ে চলাচলের সময় ঝাঁকুনিতে এ্যাম্বুলেন্সের সিট থেকে রোগী পড়ে যাওয়ারও নজির রয়েছে। ’

শাকপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাদল চন্দ্র দাশ বলেন, গত পাঁচ বছর যাবত সড়কের বেহাল দশার চিত্র নিয়ে প্রয়াত সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের কাছে একাধিকবার গিয়েছিলাম। কিন্তু সমাধান পাইনি। নতুন সংসদ সদস্য আসার পর এই অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু এতেও কোনো সমাধান আসেনি।

সড়কের বেহাল অবস্থার বিষয়টি স্বীকার করে শাকপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান মোনাফ বলেন, বছর দু’য়েক আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়। তবে চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডাল জুরি পানি প্রকল্পের কাজ চলায় সড়কের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।
‘জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় আছে। কিন্তু ওয়াসার প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত সড়কের সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। ’

সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, ওয়াসার নির্মাণ কাজ চলার কারণে সড়কের আরও বেহাল অবস্থা হয়েছে। সংস্কারের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে।

‘কিন্তু এখনই সড়কের সংস্কার করলে ওয়াসার কাজের কারণে আবারও একই অবস্থায় চলে আসবে। তাই ইচ্ছা থাকলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে সড়ক সংস্কারে কাজ করা যাচ্ছে না। ’

খবর বাংলানিউজের

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here