নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী/ সাথি মোদের ফুলপরী…’ গানের সুরে মাতোয়ারা পুরো মিলনায়তন। ক্ষুদে শিল্পীরা এক এক করে গেয়ে চলেছিলো- ‘আকাশে হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘আমারও পরাণ যাহা চায়’, অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান।
গানে আর তবলার লহড়ায় শ্রোতার মনকাড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (৭জুন) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সপ্তসুর সংগীত নিকেতন’।
সপ্তসুর সংগীত নিকেতন’র ২য় বর্ষপুর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে ছিলো পুরস্কার বিতরণ, সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের পরিচলক লিটন শীল। এরপরই শুরু হয় একঝাঁক ক্ষুদে শিল্পীদের পরিবেশনায় তবলা লহড়া। তবলার বোলে আবিষ্ট হয়ে পড়েন দর্শক শ্রোতারা। আধুনিক, দেশাত্ববোধক, রবীন্দ্র, নজরুল ও হারানো দিনের গানে সুরের মূচর্নায় কয়েক মূর্হুত আনন্দ দিয়েছে এ আয়োজন।
প্রাণবন্ত আলোচনা সভায় সপ্তসুর সংগীত নিকতনের পরিচালক রানু মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উজ্জল দত্ত। এতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিক্ষক ননী গোপাল আচার্য্যকে। প্রধান আলোচক ছিলেন বাগীশিক কেন্দ্রিয় সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পলাশ কান্তি নাথ রণি।
সংগীত শিক্ষক রাসেল দেবের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী পৌর কাউন্সিলর সুনিল চন্দ্র ঘোষ, বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শাহীনুর কিবরিয়া মাসুদ, গীতিকার ও সুরকার বিভুতি শীল বিভু, সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুল, দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, শিক্ষক রণি বিশ্বাস ও অন্তু বিশ্বাস। বক্তারা বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্য দেশিয় সংস্কৃতি লালনে চর্চার কোন বিকল্প নেই। প্রাণহীন সংগীত বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।
সপ্তসুর সংগীত নিকতনের অধ্যক্ষ জুসি বড়ুয়ার সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্টানে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এবি/সবুজ/