অনলাইন ডেক্স : একমাত্র ছেলে জানে আলমের (৩০) দুটি কিডনিই অকেজো। আর তাই ছেলেকে বাঁচাতে কিডনি দিতে চান মা ছালমা খাতুন। কিন্তু চিকিৎসা করাতে খরচ হবে প্রায় ৫/৬ লাখ টাকা। কোনোভাবেই সেটা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই হতদরিদ্র পরিবারটির। ফলে নিজের কিডনি দিয়ে বাঁচাতে চেয়েও ছেলেকে হারাতে বসেছেন মা।
অসুস্থ জানে আলম বর্তমানে ঢাকার সিকেডি ইউরোলজি হাসপাতালে ভর্তি। মা ছালমা বলেন , কিডনি আমি দেব, কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের টাকা কে দেবে?
অসহায় এই মায়ের আকুতি, ‘আমার একমাত্র ছেলেকে বাঁচান। আমার ছেলেকে বাঁচাতে সাহায্য করুন। আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় আমার ছেলে বেঁচে যাবে। অল্প বয়সে ছেলেকে হারাতে চাই না।
ইউরোলজি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে জানে আলমকে বাঁচানো সম্ভব না।
বোয়ালখালী উপজেলাধীন পশ্চিম শাকপুরা গ্রামের মৃত বদি আলমের স্ত্রী ছালমা খাতুন। ৩ মেয়ে ২ ছেলের মধ্যে জানে আলম সবার বড়। বিবাহিত এক বোনের মৃত্যুর পর সেই বোনের সন্তানদের নিজের কাছে রেখে পড়াশোনা ভরণপোষণ করিয়ে যাচ্ছে জানে আলম। তারা দুই ভাইয়ের অন্য ছোট ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। ১৯ শে জানুয়ারি ২০০৫ সালে জানে আলমের বাবা মারা যাওয়ার পর পুরো পরিবারকে নিয়ে অভাব অনটনে হাল ধরে জানে আলম। এক বছর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে জানে আলম। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান তার দুইটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে আজ নিঃস্ব পরিবারটি।
জানে আলম বলেন, আমার চিকিৎসা করাতে এলাকাবাসী সাহায্য করা টাকা সহ এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা চলে গেছে। আরও ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে শাকপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজগর হোসেন জানান, জানে আলমকে তার মা কিডনি দেবেন। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ জোগাতে পারছে না তার মা। তাই সমাজের সকলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
জানে আলমের চিকিৎসায় এগিয়ে আসা স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ক এস এম ফিরোজ জানান, কিডনি প্রতিস্থাপনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।বছর ধরে সংগ্রহ করা টাকা তার ডায়ালসিস ও পরীক্ষানিরীক্ষা করতে খরচ হয়ে গেছে প্রায়। আগামী ১২ ই জুন অপারেশনের জন্যে টাকা জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছি। এমতাবস্থায় বিত্তশালীরা এগিয়ে না আসলে জানে আলমের অপারেশন অনেকটা অন্ধকারে থেকে যায়।
জানে আলম কে সাহায্য পাঠাতে পারেন।
মোঃ জানে আলম
হিসাব নং-০৫৫২০৫০০৬৬৭৯৬
ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড,বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
অথবা বিকাশ ০১৮১২০৯৩৫২৩ (পার্সোনাল)