নিজস্ব প্রতিবেদক : বোয়ালখালীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে যুদ্ধকালীন একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে রাখার দাবীতে মানববন্ধন করেছেন বোয়ালখালী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারস’৭১ ফোরাম নামের একটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, বোয়ালখালীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে যুদ্ধকালীন একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে দায়িত্ব দিতে হবে। অন্যথায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চিত হতে পারে আর সুবিধাবাদীরা এতে সুযোগ নিবে। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর পরই যারা এ দেশ চায়নি তারা মুক্তিযোদ্ধা সেজে ঘাপটি মেরে বসছে। এখন কমান্ডারের অভাব নেই, তাদের চিহ্নিত করার সময় এসেছে।
এতে বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোলাইমান, যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার আবুল বশর, প্লাটুন কমান্ডার আব্দুল লতিফ, বি.এল.এফ কমান্ডার রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, গ্রুপ কমান্ডার আ.হ.ম নাসির উদ্দিন চৌধুরী. কমরেড সুনিল চক্রবর্তী, সেকশন কমান্ডার মো. ইদ্রিচ, প্রশান্ত কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম, আব্দুল কাদের, আবদুল হক মাস্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোকারম, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জসিম।
মানব বন্ধন শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধাদের গণস্বাক্ষরিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.একরামুল ছিদ্দিকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. হারুন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়মসহ নানা অভিযোগ এনে বলা হয়, বোয়ালখালীতে যুদ্ধকালীন কমান্ডার থাকা স্বত্ত্বেও যাছাই-বাছাই কমিটিতে হারুন মিয়ার ন্যায় একজন বিতর্কিত ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাথিত হয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা হারুন মিয়া বলেন, এ মানববন্ধনে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত হয়নি এবং সমর্থনও নাই। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল যে যাছাই-বাছাই প্রক্রিয়া করছে, তাতে প্রজ্ঞাপণ বা নীতিমালার কোনো জায়গায় যুদ্ধকালীন কমান্ডারের নাম থাকতে হবে শব্দটি উল্লেখ নেই।