উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইতোমধ্যে অবৈধভাবে দখল করেছেন জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ি এলাকার কয়েকশ’ একর পাহাড়ি ভূমি। কখনও বাগান বিলাস কখনও মৎস্যচাষের নামে পাহাড়ি ভূমি কেটে উজাড় করছেন প্রতিনিয়ত। স্থানীয় কৃষকদের আপত্তি থাকলেও যেন কারও কিছু করার ছিল না। ভয়ে মুখ খুলতে পারছিলো না কেউ? অবশেষে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরে আসে তার এ কর্মকান্ড।
গতকাল সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আফজালুর ইসলামের নেতৃত্বে জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ী অঞ্চলের আঠারোমুড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে পাহাড় কাটার সময় জব্দ করা হয় একটি স্কেভেটর। এ সময় পালিয়ে যায় শ্রমিকরা। স্থানীয়রা জানান, জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ের আঠারো মুড়া এলাকায় গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নির্বিচারে দুটি স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে যাচ্ছেন ইউনিয়ন যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা মো. ইউছুফ। এবার মৎস্যবিলাসের নামে মাছের লেক করতে তিনি এ বিশাল কর্মযজ্ঞে নেমেছেন বলে তাদের দাবি। স্থানীয়দের দাবি, পাহাড়ের পানি চলাচলের ছড়াতে বাঁধ দিয়ে তিনি মাছের লেক তৈরি করতে হাত দিয়েছেন। অনেকটা কাজ করেও নিয়েছেন। তাদের দাবি এতে পাহাড়ের সমতল এলাকায় পানি চলাচল বন্ধ হবে এবং চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি নষ্ট হবে পরিবেশের ভারসাম্য।
তারা জানান, তিনি ইতোমধ্যে কয়েকটি পাহাড়ের ঘোনা কেটে সমতল করে ফেলেন। প্রতিদিন দুইটি স্কেভেটর পাহাড় কাটলেও রবিবার একটি নষ্ট হওয়াতে মেরামতের জন্য নেয়া হয়েছিল। এ কারণে দু’টি জব্দ করতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযান পরিচালনাকারী পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আফজালুর ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। জানতে পেরেছি, মাছের লেক করার জন্য শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. ইউছুফ অবৈধভাবে এ পাহাড় কাটাচ্ছেন। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত মো. ইউছুফের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্পটে একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়েছে এবং এটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
খবর পূর্বকোণ