নিজস্ব প্রতিবেদক: বোয়ালখালীতে শুষ্ক মৌসুমে কৃষি জমির মাটি কাটার হিরিক পড়ে প্রতি বছরই। স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কেটে কৃষি জমিকে ডোবায় পরিণত করছে একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা। ট্রাকে, পিক-আপে করে এসব মাটি সরবরাহ করা হয় ইট ভাটায়। ভরাটের কাজেও ব্যবহার হয় এসব মাটি। এতে পাশ্ববর্তী কৃষি জমিও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে দিনের পর দিন চাষের উপযোগীতা হারাচ্ছে চাষাবাদযোগ্য জমিগুলো। মাটি সরবরাহের ট্রাক-পিকআপে চলাচলে রাস্তাঘাট ধেবে গিয়ে বেহালদশার সৃষ্টি হচ্ছে। এনিয়ে এলাকাবাসীরও অভিযোগের শেষ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী, পোপাদিয়া, কধুৃরখীল, সারোয়াতলী, শাকপুরা, ঘোষখীল,আমুচিয়া, কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে স্ক্যাভেটর দিয়ে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। দিনে রাতে সমান তালে চলছে মাটি কাটার এ কর্মযজ্ঞ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগই সীমাবদ্ধ। এতে আরেকটি মহল এলাকাবাসীর অভিযোগকে পুঁজি করে মাটির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ও করেন বলে জানা গেছে।
পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সাতগড়িয়া পাড়া এলাকায় চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ‘মাটির কাটার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ জানান, যে হারে বছরের পর বছর কৃষি জমির মাটি কাটা হচ্ছে এতে কোনো এক সময় চাষাবাদই বন্ধ হয়ে যাবে। একটি জমি এতো গভীর করে কাটা হয় যে, তাতে পাশবর্তী প্রায় জমিই চাষের উপযোগীতা হারাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের বোঝানো ছাড়া আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতা নেই। এরপরেও সংশ্লিস্ট বিভাগকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জানানো হয়েছে।
কৃষি জমির উর্বর মাটি কাটা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন বলেন, অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের নজরে না পড়তে মাটি কাটার সময় পাল্টিয়েছে। এসব অসাধু মাটি ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।