নিজস্ব প্রতিবেদক : বোয়ালখালীতে ‘ঘুষ’ নিয়ে প্রকৌশলীর সাথে ঠিকাদারের দেনদরবারের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বোয়ালখালী উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেনের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ঠিকাদাররা জানান, বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের শহিদ রফিক সড়কের জন্য জানুয়ারিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৩২ লাখ ২৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ফেব্রুয়ারিতে ১৩০০ মিটার দীর্ঘ ওই সড়কের কাজের অনুমতি পায় সুরাইয়া ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৩০ মার্চ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। ঘুষের টাকা কম হওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে বোয়ালখালী উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেনের সঙ্গে ঠিকাদার মো. নাজু আহমেদ পাভেলের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রকৌশলী ফারুক ঠিকাদার পাভেলের গায়ে টাকা ছুড়ে মারেন। দুজনই উত্তেজিত হয়ে পড়লে উভয় পক্ষের শোরগোলে লোকজন ছুটে এসে তাঁদের শান্ত করেন।
সুরাইয়া ট্রেডার্সের পরিচালক ও ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাজু আহমেদ পাভেল অভিযোগ করে বলেন, ‘কাজ শেষ হওয়ার পরও তিনমাস আমার বিল আটকে রাখা হয়েছে। সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন তাঁর জন্য ২০ হাজার ও তাঁর সহকারী মো. বেলালের জন্য ৫ হাজার টাকাসহ মোট ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ৩ জুলাই প্রকৌশলীকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু আরো ১০ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরদিন দুপুরে তিনি ১৫ হাজার টাকা আমার গায়ে ছুড়ে মারেন এবং দুর্ব্যবহার করে নাজেহাল করেন।’
সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদার সৈয়দ নাজু আহমেদ পাভেল একদিন আগে ১৫ হাজার টাকা জোর করে আমার টেবিলের উপর রেখে চলে যান। পরদিন তিনি প্রকৌশলীর কার্যালয়ে আসলে তাঁকে টাকাটা ফেরত দেওয়া হয়। তখন তিনি উত্তেজিত হয়ে শোরগোল করেন।’ তবে ওই টাকা তাঁর পাওনা টাকা বলে দাবি করেন তিনি