নিজস্ব প্রতিবেদক : বোয়ালখালীতে উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা । বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ১৭ মে শনিবার বোয়ালখালী উপজেলার বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ছিলো দিনব্যাপী নানান কর্মসূচী পালন করা হয় । কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, সার্বজনীন অষ্টবিংশতি বুদ্ধপূজা, সিবলী পূজা, অষ্টশীল ও পঞ্চশীল গ্রহণ এবং পিণ্ডদান। বিকেলে বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, প্রদীপ পুজা ও বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা।
মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহপরিনির্বাণ এ ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা (বুদ্ধ পূর্ণিমা) বৌদ্ধদের জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন। এ পূর্ণিমা বিশ্বময় অনুকরণীয়। অজ্ঞানতার তিমিরে মহাবিশ্বের আষ্টে-পৃষ্টে যখন অগণিত প্রাণ আবদ্ধ ছিল, ঠিক সে সময় জগতকে আলোর বন্যায় উদ্ভাসিত করে অহিংসার আলোকবর্তিকা ধারণ করে বৈশাখী পূুর্ণিমার মহেন্দ্রক্ষণে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আভির্ভূত হন সিদ্ধার্থ (গৌতম বুদ্ধ)। অনিত্যময় জগতের সারমর্ম উপলব্দির নিরিখে ছয় বছর কঠোর তপস্যায় ব্রত থেকে লাভ করলেন বুদ্ধত্ব জ্ঞান সেদিন ছিল বৈশাখী পূর্ণিমা। বিশ্বে শান্তির বারতা বইয়ে দিতে সাম্য মৈত্রীর অমিয় বাণী সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়ে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে।
বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে উপজেলার কধুরখীল জ্ঞানোদয় ও মারজিন বিহার, গোমদন্ডী সার্বজনীন জ্ঞানোদয় বিহার, শাকপুরা ধর্মানন্দ, প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, তপোবন ও লালচাঁদ বিহার, সারোয়তলী ত্রিরতœ বিহার, বৈদ্যপাড়া বোধিদ্রুম, শাক্যমুণি ও সার্বজনীন বিহার, কড়লডেঙ্গা গৌতমমুণি বিহার, আমুচিয়া বৌদ্ধ বিহার, শ্রীপুর বোধিসত্ব, মৈত্রী ও আদি শাক্যমুনি বিহার, জ্যৈষ্টপুরা কেন্দ্রিয় বৈশালী, শান্তিময় ও শাক্যমুণি বিহার, খরণদ্বীপ আর্যবোধি, ও তথাগত বিহার এবং চরণদীপ জ্ঞানাঙ্কুর বিহারে উৎসব মুখর পরিবেশে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হয়।
এবি/ডিবি