নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা সংক্রমণে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বোয়ালখালী উপজেলাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে চট্টগ্রামের আরো ৮টি রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি উপজেলাকে হলুদ জোন ও দুটি উপজেলাকে সবুজ জোন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রেড জোন ঘোষিত উপজেলা হলো- আনোয়ারা, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকুণ্ড ও হাটহাজারী।
হলুদ জোনের তিন উপজেলা- ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া। আর সবুজ জোনে থাকা দুটি উপজেলা হলো, স্বন্দ্বীপ ও মিরসরাই।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন সাপেক্ষে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি এই ঘোষণা দেন। উপজেলাগুলোয় পর্যায়ক্রমে লকডাউন কার্যকর করবে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে চট্টগ্রাম মহানগরের ১০ টি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়।
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর ও চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে চট্টগ্রামের ৯ উপজেলাকে রেড জোন হিসেবে শনাক্ত করেছে। মূলত প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় গত ১৪ দিনে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে এমন এলাকাগুলোকেই রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।’
তিনি জানান, রেডজোন ঘোষিত উপজেলাগুলোর প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লকডাউন চলাকালীন সময়ে চিহ্নিত এলাকায় সরকারি আধাসরকারি, স্বায়িত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে। লকডাউন চলাকালীন সময়ে চিহ্নিত ওয়ার্ডে যানবাহন, জন চলাচল ও দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া প্রত্যেককেই অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ‘লকডাউন চলাকালীন সময়ে এলাকার অধিবাসীরা নিজের এলাকায় থাকবেন এবং বাইরের কেউ নিজেদের এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যারা ঘরে আবদ্ধ থাকবেন তাদের প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে। এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নির্দিষ্ট টেলিফোন নম্বরে এলাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ন্যায্য বাজারমূল্যে খাদ্য,ওষুধপত্রসহ দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবন যাপনের উপকরণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। যারা হতদরিদ্র তাদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।’