মো. তাজুল ইসলাম রাজু
হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহসুফী হযরত মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) মনুষ্যাকৃতিধারী এমন এক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন আলোক পিন্ডের নাম, যে আলোক রশ্মি সকল প্রকার মানুষ তথা প্রাণী জগতের উপর সমভাবে বর্ষিত হয়। তার আধ্যাত্মিক আচরণ ও বিচরণের বহু স্মৃতি ও ইতিহাস বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে। সেগুলো যথাযথভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কোন সমন্বিত উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি। অথচ মাইজভা-ার দরবার শরীফের সামগ্রিক ইতিহাসের স্বার্থে এ ধরনের উদ্যোগ বর্তমান সময়ে জরুরী। এখানে প্রর্দশিত ছবিটা হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর (কঃ) ব্যবহৃত একটা পালঙ্কের ছবি ।
এ পালঙ্কটা বর্তমানে বোয়ালখালী থানার খিতাপচর গ্রামে হযরত শাহসুফী মওলানা সৈয়দ আবদুল আজিজ খিতাপচরীর (কঃ) মাজার শরীফ ভবনেই রক্ষিত আছে। আগরতলার তদানীন্তন মহারাজার গুরুতর অসুস্থ মাতা অলৌকিকভাবে আরোগ্যলাভ করেন হযরত সৈয়দ আবদুল আজিজ খিতাপচরীর (কঃ) দোয়ায়। কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ তাকে এ পালঙ্ক উপহার দেন মহারাজা। কিন্তু হযরত সৈয়দ আবদুল আজিজ খিতাপচরী আধ্যাত্মিক কারণে সে পালঙ্ক হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর কাছে পাঠিয়ে দেবার পরামর্শ দেন। হযরত কেবলা আলম এ পালঙ্ক কিছু দিন নিজ আসন হিসেবে ব্যবহার করেন এবং অতঃপর খিতাপচরে হযরত আবদুল আজিজের (রঃ) কাছে পাঠিয়ে দেন।
সংগৃহীত তথ্যে জানা যায়, হযরত সৈয়দ আবদুল আজিজ (কঃ) নিজ আসনে বসে এ পালঙ্কের দিকে চেয়ে থাকতেন। পালঙ্কটা তিনি যেভাবে ফিটিং করেন এবং জাজিম যেভাবে রেখেছিলেন, অদ্যাবধি সে ভাবেই আছে। এই পালঙ্কটা তাঁর মাজারের ডানপাশে শিথানে রক্ষিত। এ পালঙ্কের পৈথানের বাম পায়ার পাশে ছিল তাঁর আসন এবং এখন সে স্থানটাই তাঁর মাজার।
-মাসিক আলোকধারা জানুয়ারী ’৯৯ সংখ্যার সৌজন্যে।
এবি/ মো. তাজুল ইসলাম রাজু/ ১৪-৬-২০১৯