চলমান শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অর্থাৎ ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর এই সময়ে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও পরে আরো কমে যাবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দু’এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তোফাজ্জল হোসেন।
একই দিন পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৮ সালে পঞ্চগড়ে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যেটা ছিল বিগত কয়েক দশকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমল হক বলেন, কুষ্টিয়া ও টাঙ্গাইল অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিকালীন সময়ে আকাশে মেঘ থাকবে। বৃষ্টিপাত কেটে যাওয়ার পরে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি কমে যেতে পারে এবং চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরো বেশি অঞ্চলজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে।
২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
আর আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পরবর্তী তিনদিনে (৭২ ঘণ্টা) আবহাওয়া অবস্থায় বলা হয় তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দিনাজপুরে ৬ দশমিক ৮, ডিমলায় ৭ দশমিক ৫, রাজারহাটে ৭ দশমিক ৭ ও রংপুরে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়াও রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৭, ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৮, বদলগাছীতে ৭ দশমিক ৪ এবং তাড়াশে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিভাগীয় শহরগুলোতে ঢাকায় ১৩, ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ৮, সিলেটে ১৫ দশমিক ৫, রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৭, খুলনায় ১২ দশমিক ৩ এবং বরিশালে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।