অগ্রদূত দাশগুপ্ত
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেশের সকল নাগরিকের জন্য জীবিকার নিশ্চয়তা এবং খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবিতে চট্টগ্রামে নানান কর্মসূচি পালন করেছে সংশপ্তক এবং খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি), বাংলাদেশ।
নন্দনকাননস্থ ফুলকি অটোডরিয়ামে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল মাইম শো, গীতি নাট্য ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠান।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্যকে > জীবনধারণের মৌলিক চাহিদা হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও ২০১৯ সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৩তম অবস্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে গবেষকরা বলছে, করোনা মহামারী লকডাউন সময়ে দেশের প্রায় ৯৮.৩ শতাংশ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৮৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য সঙ্কটে ভুগেছে।
এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বলছে, দেশের পরিবারগুলোর আয় ২০.২৪ শতাংশ কমেছে। তাই দেশের সকল মানুষের জীবিকা, সংস্কৃতিভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য এখনই জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার ভলেন্টারি গাইডলাইনের আলোকে দেশে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা জরুরি। এই আইন প্রণীত হলে সকল মানুষের খাদ্য ক্রয়ের জন্য আয়, খাদ্যের যোগান এবং সংস্কৃতিভেদে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের আইনী বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০২৬ সালে খাদ্য অধিকার বিষয়ক আইন প্রণয়নের বিষয়ে প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়গুলো থেকে এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে
আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এই আইন অবিলম্বে প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।
সংশপ্তক এর প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর, মোঃ রফিকুল ইসলাম শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সাংস্কৃতিক সংগঠন পূর্বার সভাপতি সনাতন চক্রবর্তী বিজয়ের উপস্থাপনায় মাইম শো, গীতি নাট্য অনুষ্ঠিত হয়। মাইম শো ও গীতি নাট্যের মাধ্যমে নারীর প্রতি বৈষম্যসহ,বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ নারীই কোন না কোন অপুষ্টিজনিত জটিলতা, শিশুর মায়ের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করার দাবী ও সকল মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করার দাবী জানানো হয়।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংশপ্তক এর প্রধান নির্বাহী লিটন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি ডিরেক্টর অগ্রদূত দাশগুপ্ত, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, পলাশ দাশ ও পল্লী চৌধুরী। আয়োজিত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন খানি সদস্য, কৃষকদের প্রতিনিধি, উন্নয়ন কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিক প্রমুখ ।










