ইরানে বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেন এয়ারলাইনসের একটি বিমানের ব্যাপারে ইরানি কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক বক্তব্যকে ‘মিথ্যা’ আখ্যায়িত করে রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। তেহরানে অন্তত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বিক্ষোভ ঠেকাতে টিয়ারশেল ছুঁড়েছে পুলিশ। খবর বিবিসি।

গত ৮ জানুয়ারি ইরানের তেহরান বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানটিতে আরোহী ১৭৬ জনের সবাই নিহত হন। শুরুতে বিমানটি বিধ্বস্তের কারণ হিসেবে ইরান কর্তৃপক্ষ ‘কারিগরি ত্রুটি’কে চিহ্নিত করে।

তবে শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে নয়, বরং ইরানের ভূমি থেকে ছুঁড়া একটি মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয় যাত্রীবাহী বিমানটি। এরপর জাস্টিন ট্রুডোর বক্তব্যের সমর্থনে ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ৬৩ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।

ঘটনার তিনদিন পর শনিবার প্রাথমিক বক্তব্য থেকে সরে আসে ইরান কর্তৃপক্ষ। এদিন ইরান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়, তেহরানে বিধ্বস্ত হওয়া ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটিকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ভেবে ‘ভুল করে’ ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ডস এর সেনারা মিসাইল হামলা চালিয়েছে। ইরানের সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, যাত্রীবাহী বিমানে মিসাইল ছোড়ার বিষয়টি ইচ্ছাকৃত নয়। এটি মানবিক ভুল। যারা এজন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর পরপরই ইরান কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক বক্তব্যকে মিথ্যাচার আখ্যায়িত করে বিক্ষোভ শুরু হয় রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন যায়গায়। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ইরান কর্তৃপক্ষের ব্যাপক সমালোচনা চলছে।  বিবিসি জানায়, বিক্ষোভ ঠেকাতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

এদিকে ইরানের বিক্ষোভকে সমর্থন করে এক টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার টুইটে তিনি বলেন, মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে ইরান পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে দিতে হবে। বিশ্ব দেখছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ড চালানো যাবে না। ইন্টারনেট বন্ধ করা যাবে না।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here