দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদের পাশে প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে উঠেছে সুবিশাল বৃষ্টি-অরণ্য (রেন ফরেস্ট) আমাজন। পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেনের আমদানি হয় ওই বৃষ্টি-অরণ্য থেকে। নানা নাম না জানা উপজাতির বাসস্থান আমাজন জঙ্গলে রয়েছে ১৬ হাজার প্রজাতির গাছগাছালি। কিন্তু ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ আজ বিপন্ন। আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ গ্রাস করছে ওই চিরহরিৎ বনভূমিকে।
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035075.1566485452!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035074.1566485422!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035073.1566485398!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035072.1566485497!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় ওই বৃষ্টি-অরণ্যে জুলাই-অগস্ট মাসে আমাজনের আবহাওয়া কিছুটা শুষ্ক হয়ে ওঠে। তবে স্থানীয় পরিবেশবিদদের ধারণা, প্রাকৃতিক ভাবে এই আগুন লাগেনি। তাহলে?
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035071.1566485249!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
ব্রাজিলের ফেডেরাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একাংশ বলছেন, শুকনো বাতাসে দাবানল জ্বলে ওঠা অস্বাভাবিক কিছুনয়।তবে এ ক্ষেত্রে দাবানলের প্রকোপে আগুন লাগেনি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ওই বিজ্ঞানীদের মতে, অনেক সময়েই চাষের জন্য জমি বা খামার তৈরি করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সেখানেও এমনটাই হচ্ছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জলবায়ুবিজ্ঞানী কার্লোস নোব্রে বলেছেন, গবাদিপশুর চারণভূমি হিসেবে জমি ব্যবহার করতে চাওয়া কৃষকেরা জায়গা পরিষ্কার করতে শুকনো আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। এ সময় বন দাহ্য হয়ে থাকে এবং খুব সহজেই তাতে আগুন লাগে।যদিও সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের গবেষক নোব্রের মতে আমাজনে কর্মরত এনজিওগুলো কৃষিকাজে আগুন ব্যবহার করে না। তারা বরং লোকজনকে আগুন ব্যবহার না করতে উৎসাহিত করে।
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035070.1566485289!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035069.1566485144!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার আমাজন। খনিজ পদার্থ অন্বেষণের জন্য আমাজন অরণ্যে লাগাতার জঙ্গল সাফ করে খনন কাজ চালানো হয়। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি মিনিটে একটি ফুটবল মাঠের মাপের জঙ্গল কাটা হয় এখানে।ফলে স্বল্প বৃষ্টিপাতও আমাজনে আগুন লাগার অন্য একটি কারণ হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীদের আর এক অংশ। কার্বন ছাকনি হিসেবে পরিচিত চিরসবুজের ওই জায়গা যে এই ঘটনার পর তাঁর কার্যক্ষমতা হারাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত প্রায় সমস্ত গবেষক।
আমাজনে ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর নীতিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন পরিবেশবিদেরা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার আগে আন্তর্জাতিক হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না-করেই আমাজন অঞ্চলকে চাষ ও খনিজ উত্তোলনের কাজে ব্যবহারের কথা বলেছিলেন তিনি।
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035068.1566485094!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035067.1566485052!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)
তাঁর এ উদ্যোগের ফলে বন উজাড় হয়ে যেতে পারে—আন্তর্জাতিক মহলের এমন উদ্বেগ দিনের পর দিন উপেক্ষা করে গেছেন বোলসোনারো। ফলস্বরূপ আমাজনে অন্তত ৭২ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে অনেক পশুপাখীরও।
/images.anandabazar.com/polopoly_fs/1.1035066.1566484999!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_1035/image.jpg)