দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু:
শত্রুর হাত থেকে এ দেশকে স্বাধীন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সাড়ে সাত কোটি মানুষকে একত্রিত করেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের। জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ডিসেম্বর মাস আসলেই নিজের অন্যান্য কাজকর্ম ফেলে মনের তাগিদে বেড়িয়ে পড়ি পতাকা কাঁধে নিয়ে। কথাগুলো বললেন বোয়ালখালী পৌর সদরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে আসা ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর উপজেলার ২৭ বছর বয়সী সুজাত মুন্সী।
তিনি জানান, সংসারে অভাব অনটন থাকলেও বিজয়ের মাস আসলে বিগত দুই বছর ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার অলিতে গলিতে পতাকা বিক্রি করে আসছি। দৈনিক ৬/৭শ টাকা আয় হয়। প্রতিদিন এক রকম আয় হয় না। চট্টগ্রাম শহরে দৈনিক ২শত টাকায় হোটেল ভাড়া করে থাকতে হয়। মৌসুম শেষে থাকা খাওয়াসহ সব খরচ বাদ দিয়ে ৫/৬ হাজার টাকা লাভ হয়। এ ব্যবসা সারা বছর চলে না। বিশেষ করে বিজয় দিবস, শহীদ দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে মুলত এ পতাকা বিক্রি করে থাকি। তবে ব্যবসার চেয়ে বেশী ভাল লাগে যখন দেখি ছোট ছোট কোমলমতি ছেলে মেয়েরা লাল সবুজের পতাকা কিনতে ছুটে আসে।
সুজাত মুন্সির কাছে আছে বাংলাদেশের বিভিন্ন আকারের জাতীয় পতাকা। আকার ভেদে বিক্রিও করছেন বিভিন্ন দরে। শুধু জাতীয় পতাকা নয়, তার কাছে আছে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা সম্বলিত রাবার ব্যান্ড, দেশের মানচিত্র সম্বলিত ছোট ছোট স্টিকার । সুজাত মুন্সি আরো বলেন, দারিদ্রতার কারণে বেশী লেখাপড়া করতে পারিনি তবে ছোট বেলা থেকেই দেশকে ভালোবাসি।কিন্তু যখন একগুচ্ছ জাতীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে গ্রামের অলি- গলি মেঠো পথ দিয়ে হাঁটি মনে হয় আমি যেন বঙ্গবন্ধুর মুক্তির বারতা নিয়ে হাঁটছি।