কালবেলা’র সৌজন্যে
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবার ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন সর্বোচ্চসংখ্যক নারী প্রার্থী। ৯৪ নারী প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯ নারী প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, দীপু মনি, সাগুফতা ইয়াসমিন, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, জান্নাত আরা হেনরী, হাবিবুন নাহার, সৈয়দা জাকিয়া নূর, রুমানা আলী, সিমিন হোসেন রিমি, সুলতানা নাদিরা, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, সাহাদারা মান্নান ও শাহীন আক্তার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেন। এ ছাড়া নিলুফার আঞ্জুম এগিয়ে থাকলেও একটি ভোটকেন্দ্রের ফল স্থগিত রয়েছে। বাকি চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
তারা হলেন সুনামগঞ্জ-২ আসনে কাঁচি প্রতীকের জয়া সেনগুপ্তা, হবিগঞ্জ-১ আসনে ঈগল প্রতীকের আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া, গাইবান্ধা-১ আসনে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর ও মাদারীপুর-৩ আসনের তাহমিনা বেগম। এবারের ভোটের লড়াইয়ে ৩০০ আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৯৬৯ প্রার্থীর মধ্যে নারী ৯৪। এর মধ্যে ২৬ জন লড়েন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আর নির্বাচনে আসা ২৭টি রাজনৈতিক দলের ১৪টি মনোনয়ন দেয় ৬৮ নারীকে।
মোট পুরুষ প্রার্থীর তুলনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়েন ৫ শতাংশ নারী। সেইসঙ্গে ভোটে লড়েন ট্রান্সজেন্ডার দুই প্রার্থীও।
নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে ২০ নারীকে। জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও এনপিপি ৯ জন করে, তৃণমূল বিএনপির ছয়জন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বিএনএফ তিনজন করে এবং গণফ্রন্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি দুজনকে করে নারী প্রার্থী দেয়। এ ছাড়া জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, বিএনএম, কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি একজন করে নারী প্রার্থী দেয়।